Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

চিকিৎসক সংকটে হাসপাতালে অপারেশন বন্ধ


মানিক হোসেন, ভাঙ্গুড়া :

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় চিকিৎসক সংকট ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে।

ক্যাপশন:- ভাঙ্গুড়া(পাবনা) : ভাঙ্গুড়া ৫০ বেডের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

ফলে এ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। গাইনি চিকিৎসক ও অবেদনবিদ না থাকায় দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে অন্তঃসত্ত্বাদের অস্ত্রোপচার। এদিকে, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে নষ্ট হয়ে আছে এক্স-রে যন্ত্র। এতে এখানকার অধিবাসীরা বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

জানা গেছে, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য প্রশাসকসহ ৯জন মেডিক্যাল অফিসার কর্মরত রয়েছেন। এখানে আরো ছয়জন কনসালটেন্ট চিকিৎসকের পদ থাকলেও কখনই পদায়ন দেওয়া হয়নি। দীর্ঘসময় আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের পদটিও শূন্য রয়েছে। এছাড়া চার বছর আগে ৩১ শয্যার এই হাসপাতালকে ৫০ শয্যার উন্নীত করা হলেও আধুনিক ওটি সুবিধা চালু হয়নি। এ কারণে এখানকার সার্জন অফিস টাইমের পরে স্থানীয় ক্লিনিকে কাজ করেন। অথচ এখানে প্রসূতি মায়ের সিজারসহ সব ধরনের সেবা দেওয়ার কথা রয়েছে।

উপজেলার প্রসূুতি মায়েদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ড করেন। পরে অর্থনৈতিক ও অন্যান্য কারণে তারা ভাঙ্গুড়ার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে অপারেশন করিয়ে নেন। এতে অনেক টাকা খরচ হয়। তারা আরো বলেন, সরকারি হাসপাতালে এই অপারেশন হলে স্বল্প খরচেই তাদের সিজার সম্ভব হতো।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হালিমা খানম বলেন, আমি নিজেই একজন গাইনি সার্জন কিন্তু এখানে এনেসথেসিয়া ডাক্তার নেই এবং ওটির যন্ত্রপাতি জীবানুমুক্তকরনের মেশিনও নেই। তাই সিজারসহ বড় ধরনের কোন অপারেশন করা যাচ্ছেনা।

উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিদা খাতুন পাখি অবিলম্বে এখানে ওটি ক্লাব সরবরাহসহ একজন অজ্ঞান ডাক্তার এবং আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার পদায়নের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পাবনার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মেহেদি ইকবাল বলেন, ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চাহিদা আমি ডিজি হেল্থকে জানিয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমি আশা করি এনেসথেসিয়া ডাক্তার পাওয়া গেলে ওখানে স্বল্প সময়ের মধ্যে সকল সুবিধা উন্মুক্ত হবে।


Exit mobile version