সর্দিজ্বরে আক্রান্ত রিকশাচালককে বের হতে দিচ্ছে না গ্রামবাসী


নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা থেকে ফেরা একজন রিকশাচালক (৩৫) জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে এলাকায় রীতিমতো হইচই পড়েছে। যুবককে এলাকার লোকজন বাড়িতে আটকে রেখেছে। বাড়ির বাইরে আসতে দিচ্ছে না। স্থানীয় লোকজন ওই যুবকের প্রতি নজর রেখেছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ওই যুবকের দাবি রাতের বেলায় ঢাকা থেকে বাড়িতে আসায় ঠাণ্ডা লেগেছে, করোনাভাইরাসের অন্যকোনো উপসর্গ নেই।

স্বাস্থ্য বিভাগ ও এলাকার লোকজনের দেওয়া তথ্য মতে, গত শনিবার সকালে উপজেলার দ্বীপপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের আকরাম হোসেন (৩৫) নামের একজন যুবক ঢাকা থেকে বাড়িতে ফেরেন। তিনি ঢাকায় রিকশা চালাতেন। বাড়িতে ফেরার পর তিনি হালকা জ্বর ও সর্দিতে আক্রান্ত হন। এ নিয়ে তিনি বাড়ির বাইরে আসলে বিষয়টি লোকজনের নজরে আসে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের কাছে খবর পাঠানো হয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে ওই যুবকের বিষয়ে জানানো হলে তাঁরা খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করে। তবে যুবকের উপসর্গ দেখে এবং কথা বলে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ পায়নি স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে ওই যুবককে বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশ এবং প্রাথমিক কিছু ব্যবস্থাপত্র দেন। ঘরে বসে সেগুলো সেবন করছেন ওই যুবক।

এদিকে যুবক গত রোববার বাড়ির বাইরে আসার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাকে প্রতিরোধ করে। তাকে নিজ বাড়িতে ফিরে দেন লোকজন। তিনি যাতে বাড়ির বাইরে আসতে না পারেন এজন্য তার ওপর নজর রাখছে এলাকার লোকজন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মুঠোফোনে  বলেন, তারা ওই যুবককে বাড়ির বাইরে না আসার জন্য বলেছেন এবং তিনি যাতে বাইরে আসতে না পারেন এজন্য নজর রাখা হচ্ছে। স্থানীয় ২০-৩৫  জন ব্যক্তি বলেন, প্রশাসন ছাড়াও তারাও তাকে বাড়িতে থাকতে বলেছেন। এছাড়াও তিনি যাতে বাড়ির বাইরে আসতে না পারেন সেজন্য নজর রাখছেন।

ওই যুবকের উদ্বৃতি দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএ) গোলাম রাব্বানী  বলেন, তিনি ভালো আছেন এছাড়া মুঠোফোনে নিয়মিত কথা হচ্ছে। রাতের বেলায় ঢাকা থেকে আসার কারণে ঠাণ্ডা লেগেছে। এজন্য হালকা জ্বর ও কাশি। করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণই নেই। তাঁকে যেসব ওষুধ খেতে বলা হয়েছে তা খেয়ে সুস্থ হয়েছেন। এরপরেও ঘরেই আছেন।

যুবকটি এলাকার লোকজনের এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে বিব্রত বলে তাকে জানিয়েছেন বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান।


শর্টলিংকঃ