Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

সর্বাত্মক লকডাউনেও ফেরিতে যাত্রী-যানবাহনের উপচে পড়া ভিড়


ইউএনভি ডেস্ক:

দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সাধারণ যাত্রী ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ অব্যাহত রয়েছে। এতে করে অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরি যানবাহনও ফেরিতে উঠতে পারে না।


বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির দীর্ঘ সারি। কিন্তু সেখানে কোনো ট্রাফিক ব্যবস্থা নেই।দীর্ঘ সময় পর ঘাটে একটি ফেরি আসলে যে যার মতো ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। এতে করে এ্যাপ্রোচ সড়কে যানজট লেগে যায়। এ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরি যানবাহনও ফেরিতে উঠতে পারে না।

৩০ মিনিটের নৌপথ পারাপারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। পরিবহন বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা ভাড়ার মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস,মাহেন্দ্র করে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছেন।

অন্যদিকে ফেরি পারাপারের জন্য ২৫ টাকার টিকেট ৩০ টাকা নিচ্ছে কতৃপক্ষ। ঠিকমতো ফেরি না চলায় ট্রলারে নদী পার হতে দেখা গেছে অনেককেই। ট্রলার ভাড়া আদায় করা হচ্ছে জনপ্রতি ৫০ টাকা। এ সময় প্রচণ্ড রোদ আর তাপদাহে অনেকেই হাঁপিয়ে ওঠেন।

লিটন মাতবর ও আরিফুল ইসলাম নামের দুই ব্যাক্তি বলেন, অত্যন্ত নিরুপায় হয়ে নানা ধকল সামলে তারা ঢাকা যাচ্ছেন। নদীতে ঠিকমতো ফেরি চলছে না। তবু ফেরির টিকিট নিতে হচ্ছে ৫ টাকা বেশি দিয়ে ৩০ টাকায়। তারপর ট্রলার ভাড়া নিচ্ছে ৫০ টাকা।

হামীম নামে এক প্রাইভেটকার চালক বলেন, মালিকের পরিবারের সদস্যদের বরগুনায় দিতে যাচ্ছি। ভেবেছিলাম পরিবহন বন্ধ থাকায় ঘাট পারাপারে তেমন সময় লাগবে না। বেলা সাড়ে ১১টায় ঘাটে এসে দেখি ছোট গাড়ির দীর্ঘ সারি। দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ফেরিতে উঠার সিরিয়াল পেয়েছি।

ট্রাক চালক আবুল মিয়া বলেন, সড়কে বাস চলাচল বন্ধ, তবু আমাগো ভোগান্তি কমছে না। ঘাট এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। আজকে নৌপথ পার হতে পারব কি না বলতে পারছি না।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার মহা ব্যাবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ বলেন, সকাল থেকেই ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ রয়েছে। রুটে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। শাহ জালাল নামের একটি বড় ফেরি বিকল হয়ে মেরামতে আছে। বুধবার বিকাল ৫টা নাগাদ ফেরিঘাট এলাকায় ছোট গাড়ি ও ট্রাক মিলে পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে।

 


Exit mobile version