সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বাঁচান


বড়ই স্বার্থপরের মত শোনাবে। সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে তবুও দাবিটি তুলছি । আমার প্রস্তাব : অবিলম্বে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় একটি পরীক্ষা কেন্দ্র [ টেস্টিং সেন্টার ] সংবাদ মাধ্যম কর্মীদের জন্য নির্ধারণ [ডেডিকেটেড] করা হোক । কোন সংবাদমাধ্যম কর্মী পরিচয়পত্র দেখিয়েই সেখানে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে পারেন যে, তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত কিনা ।

একটি হাসপাতালও নির্ধারণ [ডেডিকেটেড] করা হোক, যেখানে একইভাবে একজন সংবাদমাধ্যকর্মী চিকিৎসা সহায়তা নিতে পারবেন। এমন না যে, এই পরীক্ষা কেন্দ্র বা হাসপাতাল শুধুই সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে । সবার জন্যই এ সব উন্মুক্ত থাকবে , শুধু সংবাদ মাধ্যম কর্মীরা এখানে একটু অগ্রাধিকার পাবেন ।

সম্প্রতি একজন সাংবাদিকের মৃত্যু এবং বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ার পর নিজে কোভিড -১৯ আক্রান্ত কিনা এটি পরীক্ষা করার একটি চাহিদা সংবাদ কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে । নানা হাসপাতালে ঘুরে যে অবস্থায় খোকন মারা গেল, তাতে এমন একটি চাহিদাও তৈরি হয়েছে যে, আক্রান্ত কোন সংবাদ কর্মী যাতে প্রয়োজন হলে সরাসরি সেই নির্ধারিত হাসপাতালেই যেতে পারেন । প্রাথমিক ভাবে এই ব্যবস্থা ঢাকায় চালু করে পরে ঢাকার বাইরে সম্প্রসারন করা যায় ।

কোভিড-১৯ যুদ্ধে আমরা সংবাদকর্মীদের সন্মুখসারির যোদ্ধা বলছি, আসলেও তাই। কিন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলি : এই যুদ্ধে সন্মুখ সারির অন্য যোদ্ধাদের তুলনায় সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের জন্য বিশেষ কিছু করা হয় নাই । অনুগ্রহ করে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বাঁচান, তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহায়তা দিন।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের ডাকেই সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যম কর্মীরা মাঠে । কোন কিছু না পেলেও জীবন-মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে আমার প্রিয় সহকর্মীরা এই দায়িত্ব পালন করবেন, আমি নিশ্চিত । আজ মে দিবস । মে দিবসের মূল চেতনা : পেশাজীবী- শ্রমজীবীদের জীবন, জীবিকা, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা। এটি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব । এই বিশেষ পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা আরও জরূরী । সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম কর্মীদের স্বীকৃত সংগঠনগুলো বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে দ্রুত সরকার, বিশেষত: স্বাস্হ্য মন্ত্রনালয়ের সাথে কথা বলুন । অবশ্যই পাশে থাকবো ।

লেখক- মনজুরুল আহসান বুলবুল : সাবেক সভাপতি, বিএফইউজে


শর্টলিংকঃ