সাগরে ৬ মাস থাকার পর ৩০০ রোহিঙ্গার ঠাঁই হল ইন্দোনেশিয়ায়


ইউএনভি ডেস্ক:

সাগরে ছয় মাস ভেসে থাকার পর প্রায় তিন শতাধিক রোহিঙ্গার একটি দলের ঠাঁই হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের একটি সমুদ্র সৈকতে। সোমবার দেশটির কর্তৃপক্ষ এ খবর জানিয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম এনবিসি নিউজ জানায়, সোমবার সকালে তাদের সাগরে দেখতে পান স্থানীয়রা। কাঠের নৌকায় থাকা রোহিঙ্গাদের কান্নাকাটি দেখে স্থানীয়রাই তাদের লোকসুমাওয়ে এলাকায় নামতে সাহায্য করেন।

স্থানীয় পুলিশ প্রধান ইপ্টু ইরওয়ানস্যা জানিয়েছেন, সৈকতে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ২৯৭ জন। এদের মধ্যে ১৮১ জন মহিলা ও ১৪ শিশু রয়েছে।লোকসুমাওয়ের রেড ক্রসের প্রধান জুনায়েদী ইয়াহিয়া বলেছেন, বর্তমানে এই দলটিতে সাময়িকভাবে এখানেরাখা হয়েছে।

ইয়াহিয়া বলেন, আমরা আশা করছি আজ তাদের এখান থেকে সরিয়ে নেয়া হতে পারে। তবে তাদের শরীরে করেনার বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এসব রোহিঙ্গা ঠিক কতদিন ধরে সাগরে ভাসছিলেন ও কোন ধরনের নৌযানে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছেছেন তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটিতে এযাবৎকালে পৌঁছানো সবচেয়ে বড় রোহিঙ্গা দল এটাই।

বার্তা সংস্থা এপি জানায়, রোহিঙ্গা দলটি একটি নৌকায় করে উজং ব্ল্যাং সমুদ্র সৈকতে পৌঁছালে স্থানীয় বাসিন্দারা কৃর্তপক্ষকে খবর দেয়। বান্দা শক্তি সাবডিস্ট্রিক্ট মিলিটারি কমান্ডার রনি মহেন্দ্র জানান, কর্মকর্তারা দেখতে পান যে আগত রোহিঙ্গারা অবতরণের পর তিনটি দলে ছড়িয়ে পড়েছিল। ‘এখন আমরা ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি,’ বলেন রনি মহেন্দ্র।

ইন্দোনেশিয়ার ভূমিতে নামতে দিয়ে রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক ইন্দ্রিকা রাতওয়াত্তে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ২০০ দিনেরও বেশি সময় সাগারে কাটানো রোহিঙ্গা দলটি বারবার তীরে নামার চেষ্টা করার পরেও সেটা সম্ভব হচ্ছিল না। যাত্রাপথে এসব শরণার্থীর মধ্যে কয়েক ডজনের প্রাণহানি হয়েছে।

এর আগে জুনে ইন্দোনেশিয়ার জেলেরা পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আচেহ উপকূলে একটি কাঠের নৌকায় ৯৪ জন রোহিঙ্গাকে খুঁজে পেয়েছিল।


শর্টলিংকঃ