সাঙ্গাকারাকে ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিবাদের ঝড়


ইউএনভি ডেস্ক:
২০১১ বিশ্বকাপের তদন্ত নতুন মোড় নিল শ্রীলঙ্কায়। দেশটির সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দা আলুথগামাগের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ৯ বছর আগে বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে শ্রীলঙ্কার সরকার।

সাঙ্গাকারাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিবাদের ঝড়

গত মঙ্গলবার (৩০ জুন) ৬ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক তথা দেশের ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান অরবিন্দ ডি’সিলভা এবং ২০১১ বিশ্বকাপে দলের ওপেনার উপুল থরাঙ্গাকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) ক্রীড়া মন্ত্রালয়ের তলবে সাড়া দিয়ে তদন্তে সহযোগীতা করেন ২০১১ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে নেতৃত্ব দেওয়া কুমার সঙ্গাকারা। দেশের ক্রীড়া মন্ত্রালয়ের কার্যালয়ে এদিন ৮ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে পুলিশি জেরার মুখে পড়েন এই কিংবদন্তি। আর এই ঘটনায় ক্রীড়া মন্ত্রালয়ের কার্যালয়ের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখায় দেশটির বিরোধী দলের যুব শাখার সদস্যরা। ভিত্তিহীন অভিযোগ মোতাবেক দেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের এমন জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তারা।
ঘটনার নিন্দা করে টুইট করেন বিরোধী দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী সাজিথ প্রেমদাসা। কুমার সঙ্গাকারাসহ তারকা ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসাবাদের বিরোধীতা করে সরকারের নিন্দা করেন তিনি। তিনি লেখেন, কুমার সঙ্গাকারাসহ দেশের ক্রিকেট তারকাদের ধারাবাহিক হেনস্থার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়। উল্লেখ্য, ২০১১ বিশ্বকাপ তদন্তে ডেকে পাঠানো হয়েছে আরেক কিংবদন্তি মাহেলা জয়বর্ধনেকে। এদিন সঙ্গাকারার বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ।

২০১১ ভারতের মাটিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল নাকি আয়োজক দেশকে বেচে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। গত মাসে এমনই মন্তব্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দা আলুথগামাগে। সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীর এমন অভিযোগকে হালকাভাবে নেয়নি দ্বীপরাষ্ট্রের ক্রীড়া মন্ত্রালয়। কালবিলম্ব না করে ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় তারা।

প্রাথমিকভাবে ক্রীড়ামন্ত্রীর অভিযোগ কটাক্ষ করেছিলেন শ্রীলঙ্কার দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটার মাহেলা জয়বর্ধনে ও কুমার সঙ্গাকারা। জয়বর্ধনে সাফ জানিয়েছিলেন, সামনেই নির্বাচন। তাই সার্কাস শুরু হয়ে গেছে।

২০১১ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ছিলেন সঙ্গাকারা, যিনি ভারতের কাছে হারের পরেই নেতৃত্ব ছেড়ে দেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন এই রাজনৈতিক নেতার উচিত আইসিসি’র এন্টি করাপশন বিরোধী ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করা। কারণ এটা রীতিমত গুরুতর অভিযোগ।


শর্টলিংকঃ