সাধনাই তাকে প্লেব্যাক সম্রাট বানিয়েছে: রুনা লায়লা


ইউএনভি ডেস্ক:

এন্ড্রু কিশোর আমাদের মাঝে নেই, তার না থাকা নিয়ে আমাকে কিছু বলতে হবে, তা কখনও কল্পনাও করিনি। একসঙ্গে কত গান করেছি আমরা! কত গান তার জনপ্রিয় হয়েছে তা বলে প্রকাশ করার ভাষা নেই। এন্ড্রু কম কথা বলত, কাজ করত পুরো মনোযোগ দিয়ে।


বিশেষ করে রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সে ছিল খুবই মনোযোগী। তার সঙ্গে রেকর্ডিং করতে গিয়ে দেখেছি সে কতটা ডেডিকেটেড ছিল কাজের প্রতি! এই ডেডিকেশনই (সাধনা) তাকে প্লেব্যাক সম্রাট হিসেবে খ্যাতি এনে দিয়েছে। তার সঙ্গে সিনেমার গান অনেক করেছি। কিন্তু একটি বিষয় জেনে অনেকেই অবাক হবেন, আমাদের একসঙ্গে স্টেজ শো ছিল খুব কম। সর্বশেষ সুইডেনে এক যুগ আগে একটা শো করেছিলাম আমরা।

আমি মূলত একাই শো করি, সে জন্যই হয়তো এমন। একসঙ্গে শো না করা হলেও তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ প্রায়ই হতো। তার একটা কাজ আমার খুব ভালো লাগত; সুস্থ থাকার সময়গুলোতে প্রতি ক্রিসমাসে সে আমার বাসায় কেক পাঠাত। এটা সত্যিই ভালো লাগার একটি বিষয় ছিল। কখনও সে এ কাজটা মিস করত না। কষ্ট হচ্ছে খুব, সে আমাদের মাঝে আর নেই। জানি না আমিও কবে চলে যাই। আগামী ক্রিসমাস পর্যন্ত যদি আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখেন, তাহলে সে দিনটিতে তাকে খুব বেশি মিস করব। হয়তো মনের অজান্তে তার কেকের জন্য অপেক্ষাও করব।

তার শেষ দিনগুলোতে নিয়মিতই খোঁজ নিতাম। শেষ অবস্থাটা জানতাম। সে আর ফিরবে না, কিন্তু এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে এন্ড্রু নেই। যার সঙ্গে এত এত কাজ করেছি, তার চলে যাওয়া কত কষ্টের তা বলে বোঝাতে পারব না। এটুকুই বলতে চাই, এন্ড্রু ওপারে ভালো থাকুক, শান্তিতে থাকুক।


শর্টলিংকঃ