সামরিক খাতের চেয়ে প্রাণরক্ষার গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো সময়ের দাবি


যুদ্ধ-বিগ্রহের সরঞ্জামের চেয়ে প্রাণরক্ষার গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানো আজ সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীতে মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবন থেকে ফেসবুক লাইভে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

সামরিক খাতে ব্যয়ের তুলনায় চিকিৎসার গবেষণায় ব্যয় কম হওয়াকে কীভাবে দেখছেন? জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে সারা পৃথিবী দেখছে, একটি জীবাণুর কাছে মানুষ কত অসহায়। সমস্ত পৃথিবীর প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ আজ ‘লকডাউন’ অবস্থায়, পৃথিবী থমকে গেছে। শত্রুটা কী? একটি জীবাণু। আমরা একটি জীবাণু মোকাবিলা করতে পারিনি, পরাস্ত করতে পারিনি।’

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতে মেডিকেল রিসার্চের জন্য সরকারি ব্যয় হচ্ছে প্রতিবছর ২.৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা মাত্র কয়েকটি সামরিক বিমানের মূল্যের সমান।’

আর অন্যদিকে আমরা একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য ক্রমাগতভাবে ব্যয় বাড়িয়ে যাচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ২.১৭ ভাগ এবং এই ব্যয় দিন দিন বাড়ছে। পৃথিবীর বড় পাঁচটি দেশ পৃথিবীর মোট সামরিক ব্যয়ের ৬০ ভাগ ব্যয় করে এবং সেটা প্রতি বছর বাড়ছে।’

‘এখন ভাবার সময় এসেছে আমরা একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করার ব্যয় বাড়াবো, নাকি মানুষকে স্বাস্থ্যগতভাবে সুরক্ষা দেয়ার জন্য ব্যয় বাড়াবো,’- বলেন পরিবেশ গবেষক ড. হাছান মাহমুদ।

ভবিষ্যত পৃথিবীর জন্য সতর্কতাবাণী উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতেও এ ধরনের জীবাণুর আক্রমণ হতে পারে। সুতরাং সেটি থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করার জন্য গবেষণা বরাদ্দ বাড়ানো আজ সময়ের দাবি। আমি মনে করি, যেভাবে একটি জীবাণুর কাছে আমরা মানবজাতি অসহায় হয়ে পড়েছি, এতে করে যারা অস্ত্র বা যুদ্ধ প্রতিযোগিতার মধ্যে আছেন তাদের বোধোদয় হবে।’


শর্টলিংকঃ