সারাদেশে ১২ সিটিতে ২৯৪১টি পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ


সারাদেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনে পশু জবাই করার জন্য ২ হাজার ৯৪১টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৬ অগাস্ট) স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই স্থান নির্ধারণ করে দেয়ার কথা জানান।

এতে ঢাকা দক্ষিণে নির্ধারিত স্থান ৫০২টি এবং উত্তরে ২৭৩টি। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান ৪৮৭টি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ৩১৪টি। অন্য সিটি কর্পোরেশনগুলো হলো রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর ও ময়মনসিংহ।

মন্ত্রী জানান, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে কুরবানির জন্য নির্ধারিত স্থানগুলোতে প্যান্ডেল তৈরি করে দেয়া হবে, সেখানে পশু জবাইয়ের জন্য ইমাম এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাংস প্রস্তুতকারী থাকবেন। আর বর্জ্য অপসারণের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যান থাকবে, থাকবে স্যাভলন ও ফিনাইল মিশ্রিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা।

বর্জ্য অপসারণের কন্ট্রোল রুমের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলা হয়, প্যান্ডেলগুলোতে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাও থাকবে। রাস্তার ওপর কোনো পশু জবাই না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী সড়কে কোনো হাট না বসাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

১২টি সিটি কর্পোরেশনে মোট পশুর হাটের সংখ্যা ৯৬টি। বাংলাদেশে কুরবানির ঈদে যত্রতত্র পশু জবাই হওয়ায় বর্জ্য ছড়িয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়; পাশাপাশি বর্ষায় এই বর্জ্য নগরগুলোর পানি নামার পথ আটকে দিয়ে বিড়ম্বনাও তৈরি করে। এই পরিস্থিতি এড়াতে গত কয়েক বছর ধরে ঢাকায় পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হলেও তাতে সাড়া মিলছে কম।


শর্টলিংকঃ