সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ইবি ছাত্রলীগে সংঘর্ষ, আহত ৮


ইবি প্রতিনিধি

জুনিয়র কর্তৃক সিনিয়রকে মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (২২ ফব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পসের জিয়া মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের অন্তত আট নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে এক জনের অবন্থা আশঙ্কাজনক।

সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ইবি ছাত্রলীগে সংঘর্ষ, আহত ৮

জানা যায়, রাত সাড়ে আট টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জেবিয়ারকে বন্ধু ভেবে ডাক দেয় আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রলীগ কর্মী কামাল। পরে দুঃখ প্রকাশ  করলেও কামালকে শাসায় ও পরে দেখা করতে বলে জেবিয়ার।

কামাল তার বন্ধুদের য়ে জিয়াউর রহমান হলে জেবিয়ারের সাথে দেখা করতে যায়। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জেবিয়ারকে মারধর করে কামাল ও তার বন্ধুরা। এঘটনায় ছাত্রলীগ নেতারা এসে ঘটনার সমাধান করার চেষ্টা করেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জিয়া হলের ২০৮ নম্বর কক্ষে কামাল অবস্থান করছে জানতে পেরে জেবিয়ার তার গ্রুপের ইমতিয়াজ, জয়, সালমান, হামজাসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে আক্রমণ করে।

এসময় কামাল কক্ষ থেকে বের না হলে দরজায় লাথি ও ইট পাটকেল মারতে থাকে। পরে তারা হল থেকে বের হয়ে জিয়া মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় জিয়া হলসহ অন্য হলে থেকে আসা কামালদের গ্রুপের সাথে জেবিয়ারদের সংঘর্ষ বাধে। এসময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের হাতে দেশিয় অস্ত্র দেখা যায়।

সংঘর্ষে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের হিমেল চাকমা নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী গুরুতর আহত হয়। তাকে ইবি চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও রিয়ন, সাব্বির, হিমেলসহ অন্তত আটজন আহত আহত হয়। ঘটনার জের ধরে জিয়াউর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী ইমতিয়াজের কক্ষে (৪১৫) ভাংচুর করে অপর পক্ষ।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ বলেন, প্রথমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে শুনতে পাই সিনিয়র নেতারা সমাধানের চেষ্টা করছে। পরে তারা আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পরলে পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি গিয়ে ঘটনা অবজার্ব করি। ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিপ বলেন, আমাকে ঘটনার আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। তবে পুলিশ ফোর্স নিয়ে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।


শর্টলিংকঃ