Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

সিন্ডিকেট সভায় নেই নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি


ইউএনভি ডেস্ক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়াই ন্যূনতম সদস্যের অংশগ্রহণে কোরাম পূর্ণ করে ৫০৩তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপাচার্যের বাসভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে, সিন্ডিকেটের মোট ১৮ জন সদস্যের মধ্যে শনিবারের সভায় পাঁচজন সশরীরে এবং একজন সদস্য জুমের মাধ্যমে অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন। এঁদের মধ্যে উপাচার্য এম আবদুস সোবহান, সহ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা ও চৌধুরী মো. জাকারিয়া এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান পদাধিকার বলে সিন্ডিকেটের সদস্য। সিনেট কর্তৃক মনোনীত সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক রুস্তম উদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া অনলাইন মাধ্যম জুমের সাহায্যে আচার্য মনোনীত সদস্য অধ্যাপক এম ওসমান গনি তালুকদার যুক্ত হন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত ছয়জন শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে থাকেন। এর মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরের ডিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি সদস্য হিসেবে বহাল নেই। সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোহা. মনিরুল হক এবং সহকারী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক মো. আবদুল্লাহ আল মামুনের পদোন্নতি হওয়ায় এই দুই শিক্ষকও এখন সিন্ডিকেট সদস্য নন। এ ছাড়া প্রভাষক ক্যাটাগরিতে সদস্য ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক মো. মাসিদুল হক শিক্ষা ছুটিতে আছেন। পাশাপাশি এর বাইরেও পাঁচটি সদস্যপদ নানা কারণে শূন্য আছে।

 

বর্তমানে সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের নির্বাচিত প্রতিনিধি আছেন দুই শিক্ষক। তাঁরা হচ্ছেন প্রাধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে মাদার বখ্শ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবদুল আলিম এবং অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. হাবীবুর রহমান। বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত এই দুই শিক্ষকও সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন না। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট অনুমোদন, দুইটি ইনস্টিটিউটে কর্মকর্তা নিয়োগ অনুমোদন, কয়েকজন শিক্ষকের পদোন্নতি অনুমোদনসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানতে চাইলে অধ্যাপক হাবীবুর রহমান বলেন, ‘সিন্ডিকেটে আমরা বিএনপিপন্থী শিক্ষক কম। আমরা বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক নিয়োগ অনুমোদনসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নানা সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়েছি। কিন্তু আমাদের মতামত প্রায় সব সময়ই উপেক্ষিত হয়। তাই আজ (শনিবার) আমরা প্রতিবাদের অংশ হিসেবেই সিন্ডিকেটে উপস্থিত হইনি।’ তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধিদের একটা গুরুত্ব রয়েছে। তাঁরা ভেবেছিলেন শিক্ষক প্রতিনিধি ছাড়া সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হবে না বা গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হবে না। কিন্তু তা হয়নি।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও সিন্ডিকেটের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী ফোন ধরেননি। তবে সহ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ডিন, সিন্ডিকেট, শিক্ষক সমিতিসহ নানা নির্বাচন হতে পারছে না। এ কারণে সিন্ডিকেট সভায়ও সদস্য কমে গেছে। এ ছাড়া দুজন নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত হননি।


Exit mobile version