সীমান্তে কেউ আমাদের শক্তি পরীক্ষা করলে, যথাযথ উত্তর পাবে: মোদি


ইউএনভি ডেস্ক:

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সীমান্তে কেউ আমাদের শক্তি পরীক্ষা করলে, যথাযথ উত্তর পাবে। শনিবার জয়সলমীরায় ভারতের জওয়ানদের উদ্দেশে ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

জওয়ানদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘আপনারা আছেন তাই দেশ আছে। দেশের উৎসব আছে। পৃথিবীর কোনও শক্তি আমাদের সেনা জওয়ানদের সীমান্ত রক্ষায় বাধা দিতে পারবে না। পাহাড়ের চূড়ায় হোক, মরুভূমির প্রান্তরে অথবা ঘন জঙ্গলে, আপনাদের কর্তব্য, নিষ্ঠা, দায়িত্ব শৌর্য দেখে দেশবাসী অনুপ্রাণিত হয়। প্রতিবার দীপাবলীর উৎসবে আপনাদের মাঝে আসি। আপনাদের মুখে হাসি দেখে আমারও উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। প্রতিবারের মতো এবারও আমি প্রতিটি দেশবাসীর শুভকামনা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি। প্রতিটি দেশবাসীর ভালবাসা ও আশীর্বাদ নিজের সঙ্গে নিয়ে এসেছি। আজ আমি সেই সব মা ও বোনেদেরও শুভকামনা জানাচ্ছি যাদের প্রিয়জন উৎসবের সময়ও দেশের সুরক্ষায় সীমান্তে কর্তব্যরত। আপনাদের এই আত্মত্যাগ বিফলে যাবে না।’

প্রতিবারের মতো এবারও দেওয়ালির দিন সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফ)-এর জওয়ানদের সঙ্গে কাটিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ সাল থেকে এই দিনটা মূলত ভারতীয় সেনার সঙ্গে কাটান তিনি। এ বারেও তার অন্যথা হয়নি। জয়সলমীরের লঙ্গেওয়ালায় মোদি বলেন, ‘সীমান্তে কেউ আমাদের শক্তি পরীক্ষা করলে, যথাযথ উত্তর পাবে। শুক্রবারই সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের হামলায় জওয়ানসহ ১১ ভারতীয় নিহত হন।

মোদি বলেন, একাধিক দেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও লঙ্গেওয়ালার নাম সারা দেশের মানুষের মুখে মুখে ফেরে। লঙ্গেওয়ালার লড়াইয়ের ইতিহাস প্রত্যেক ভারতীয়ের স্মৃতিতে উজ্জ্বল। সবাই জানে, ‘জো বলে সো নিহাল, সৎ শ্রী আকাল’ ধ্বনির কথা।’

জওয়ানদের উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘দেওয়ালির মতো সামাজিক উৎসবে মানুষ পরিবারের সঙ্গে কাটাতে ভালবাসেন। এই সময়টায় কাছের মানুষদের সঙ্গে থাকেন সবাই। তাই প্রতি বছর আমি আপনাদের সঙ্গে সময় কাটাই, কারণ আপনারাই আমার পরিবার।’

এ ছাড়াও এ দিন মিষ্টি নিয়ে আসেন মোদী। সেনা জওয়ানদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করে বলেন, ‘‘একা আমার তরফ থেকে এই মিষ্টি নয়। এই উপহার ১৩০ কোটি দেশবাসীর তরফ থেকে।’’

জয়সলমীরের লোগেবালা বিএসএফ পোস্টে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা অপরাজেয়। আপনারা অজেয়। আপনাদের এই সাহস ও বীরত্ব দেখে দেশের প্রতিটি নাগরিক গর্বিত। হিমালয়ের চূড়ায় হোক বা রাজস্থানের মরুভূমিতে, আপনারা দেশরক্ষায় অটল। কোনও শক্তিই আপনাদের পরাস্ত করতে পারবে না। ১৩০ কোটি মানুষের আস্থা, ভরসা ও বিশ্বাসের আরেক নাম আপনারা। আপনারা আছেন বলেই দেশবাসী নিশ্চিন্তে রয়েছে। দেশ এগিয়ে চলেছে।’


শর্টলিংকঃ