স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপঃ পুঁজি ছাড়াই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ


ইবি সংবাদদাতা:

প্রতিদিন মাথায় কতো আইডিয়া আসে আবার সময়ের সাথে সেগুলো হারিয়ে যায়। আবার কখনো অর্থ ও সুযোগের অভাবে সেই আইডিয়া নিয়ে কাজ করা হয়ে উঠে না। আকাশচুম্বি স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকে যায়। তবু আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে সবাই। এ স্বাপ্নিকদের বেশীর ভাগই হয়ে থাকে তরুন প্রাণ।

 

 

স্বপ্নবাজ এসব তরুণদের উদ্ভাবনী ভাবনা, উদ্যোগ ও স্টার্টআপকে ব্যবহার করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলছে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ একাডেমি-আইডিয়া প্রকল্প এবং দেশের তরুণদের স্বপ্নের ও সবচেয়ে বড় পাল্টফর্ম ইয়াং বাংলা’র যৌথ উদ্যোগে চলছে এ স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা।

‘আমার উদ্ভাবন, আমার স্বপ্ন’ শিরোনামে প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় অধ্যায়ের বৃহস্পতিবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস পিচিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারী কক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নিজেদের নতুন আইডিয়া নিয়ে হাজির হয় শিক্ষার্থীরা। পিচিং এ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিচারকদের সামনে আইডিয়া উপস্থান করেন। সেখান থেকে বাছাই করা সেরা ৩ টি আইডিয়া জাতীয় পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে ।

এর আগে ক্যাম্পাস এম্বাসেডর তন্ময় সাহা টনির সভাপতিত্বে ও মারিয়া তাজনিমের এর সঞ্চালনায় এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশীদ আসকারী। ব্রিফিংয়ে ইয়ং বাংলা ও স্টুডেন্ট টু স্টার্ট আপ এর উদ্দেশ্য, কার্যক্রম ও কর্মপদ্ধতি তুলে ধরেন আইডিইএ প্রকল্পের সহযোগী ব্যবস্থাপক আনিছুর রহমান।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে ২৫ টি ভ্যেনুতে ১০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করবে। সেখান থেকে ৭৫ টি টিম জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্পে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। দর্শক এবং বিচারকদের ভোটে বাছাই করা হবে মূল প্রতিযোগিতার শীর্ষ ৩০ স্টার্টআপ।

পরে জাতীয় পর্যায়ে সেরা ১০ উদ্ভাবনী ভাবনা বা স্টার্টআপ নির্বাচন করেবে ‘আইডিয়া’ প্রকল্পের বাছাই কমিটি এবং অন্য বিচারকরা। তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। এছাড়া শীর্ষ ৩০ এর ২০ স্টার্টআপও প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে স্টুডেন্ট টু স্টার্ট আপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এর মাধ্যমে তরুনরা আত্বর্নিভরশীল হতে পারবে। শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ।’

উল্লেখ্য, এর আগে ৪০ টি ভ্যানুতে দেশের ৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব সম্পন্ন হয়েছে।

 


শর্টলিংকঃ