স্ত্রীকে রাস্তায় ফেলে পালিয়েছে স্বামী


বাঘা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রীকে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়েছে স্বামী। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। মূমূর্ষ অবস্থায় শনিবার রাতে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে তাকে স্বামীর বাড়ি জোতরাঘব গ্রামে নেওয়া হয়। সেখান থেকে স্বামীর কর্মস্থল সেবা ক্লিনিকে নেওয়ার পর অবস্থা  গুরুতর হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছিল।

আহত শামীমা আকতার রেখার স্বামী জিল্লুর রহমানের বাড়ি উপজেলার জোতরাঘব গ্রামে। তার স্বামী সেবা কিনিকের পার্টনার বলে জানা গেছে। শামীমা আকতার রেখা জিল্লুর দ্বিতীয় স্ত্রী। রেখার বাবার বাড়ি লালপুরের সালামপুর কেশব বাড়িয়া গ্রামে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার দিঘা ধরবলিয়া এলাকা থেকে শামীমা আকতার রেখাকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শী দিঘা গ্রামের আফতাব আলী জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে ওই নারীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে দেখেন। পরে ভ্যানে করে দিঘা বাজারে ইসরাফিল ডাক্তারের কাছে নেন। সেখানে চিকিৎসা নিতে রাজি না হয়ে তার স্বামীর বাড়ি জোতরাঘব নেওয়ার কথা বলেন।

তার কথা মতে স্বামীর বাড়িতে নেওয়ার পর ওই বাড়ির নারি সদস্যরা সেবা কিনিকে নিতে বলেন। পরে সেবা ক্লিনিকে নেওয়ার পর ক্লিনিকের আরেক পার্টনার নাজমুল স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার আকতারুজ্জামান জানান, গুরুতর আঘাতের কারণে তার থুতনির নীচে ম্যান্ডেবুল ফ্রাকচার হয়েছে। তার কথায় থুতনির হাড় ভেঙ্গে গেছে। হাফেজ নামের স্বামী পক্ষের লোকজন মাইক্রোতে রাজশাহীতে নিয়েছে বলে পরে জেনেছেন।

আহত রেখা জানান, নাটোরে বেসরকারি কিনিকে নন ডিপ্লোমা নার্স হিসেবে কাজ করতেন। শনিবার বিকেলে সেখান থেকে স্বামী জিল্লুর মোটরসাইকেলে তার বাড়িতে আসছিলেন। পথিমধ্যে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে চলে আসেন। রক্তাক্ত জখম হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে স্থানীয়দের সেবায় জ্ঞান ফিরে পান।

তিনি আরও জাননা, ঘটনার পর স্কুল জীবনের বন্ধুর এক আত্মীয় তাকে হাসপাতালে নিয়েছেন। বছর খানেক আগে দ্বিতীয় বিয়ের শর্তে রাজি হয়ে তার প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে জিল্লুৃরকে বিয়ে করেণ রেখা। এর মাঝে তাকে তালাক দিয়েছিল জিল্লুর। পরে মামলা করেণ। এর পর থেকে তাকে বিভিন্নভাবে মানষিক ও দৈহিকভাবে নির্যাতন করতো।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে রেখার স্বামী জিল্লু রহমানের সঙ্গেযোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


শর্টলিংকঃ