- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতিতে গরু পালনে সাড়া ফেলেছেন বজলুর


আমানুল হক আমান, বাঘা :
আয় রোজগার না থাকায় এক সময় সংসার নিয়ে ভেঙে পড়েন বজলুর রহমান (৪২)। তবে দমে যান নি।  তার এই ইচ্ছা শক্তি থেকে গরুর খামার করে এখন তিনি স্বামলম্বী। বজলুর রহমান রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আড়ানী পৌরসভার নুরনগর গ্রামের মৃত ওবায়দুর রহমানের ছেলে।

জানা যায়, বজলুর রহমানের পরিবারে অভাব-অনটন ছিল তার নিত্য দিনের সঙ্গী। সংসারের একটু সুখের কথা চিন্ত করে গরুর খামার দেন। গরু পালন করার পর থেকে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। মনের ইচ্ছা শক্তি থেকে গরুর খামার করে এখন তিনি স্বাবলম্বী। তিনি খামার থেকে বছরে আয় করেন প্রায় তিন লাখ টাকা। অন্য দিকে গরুর গোবর বিক্রি করেও প্রতি মাসে অতিরিক্ত টাকা আয় করনে।

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করার পাশাপাশি তিনি মাছ চাষ করেন। পশু মোটাতাজা করতে রাসায়নিক দ্রব্যাদি ও স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করে না। তার ফার্মে বর্তমানে ১০টি গরু রয়েছে। প্রতিটি গরু ২৫-৩০ হাজার টাকার মধ্যে কিনে ১০ মাস লালন পালন করে কোরবানিকে সামনে রেখে বিক্রি করেন। তিনি প্রতিটি গরু ৭০-৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। ইতিমধ্যে তিনটি গরু বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকায়।

বজলুর রহমান বলেন, আমি একেবারে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু পালন করছি। কোনো ধরনের ওষুধ ব্যবহার করিনা। প্রকৃতিক খাবার খাইয়ে পালন করা গরু বেশি দামে বিক্রি হয়। খৈল, গমের ভূষি, চালের কুড়া, ভাত খাইয়ে গরু গালন করছি।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আবদুল কাদির বলেন, বজলুর রহমান প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পশু পালন করে। এই উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে যাবে। এছাড়া উপজেলার বেশ কয়েকজন খামারির মধ্যে তিনি একজন। তার খামারের প্রতি উৎসাহিত হয়ে এলাকার অনেক বেকার যুবক বিভিন্ন স্থানে খামার করছেন।