স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে দিলেন ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা


নিজস্ব প্রতিবেদক :

স্বেচ্ছাশ্রমে রাজশাহীর পবা উপজেলার বিপদগ্রস্ত এক বর্গাচাষীর ধান কেটে দিয়ে সহায়তা করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, রাজশাহীর নেতা-কর্মীরা। আজ শনিবার (১৮ মে) উপজেলার দূর্গম গ্রাম বিলনেপাল পাড়া এলাকায় কামরুজ্জামান মিঠুন নামে এক বর্গাচাষীর ধান কেটে সহায়তা করেন তারা।

জানা যায়, স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে কামরুজ্জামানের পরিবার। প্রতি বিঘা ৬ হাজার টাকা বর্গা নিয়ে ধান ফলাতে হয় প্রত্যেক বছরই। সর্বশ্রান্ত হয়ে রক্ত পানি করে ধান চাষ করার পর অর্থাভাবে ধান কাঁটা ও ছট বাঁধার শ্রমিক নিয়োগ দিতে পারেননি তিনি। ধান বিনিময় করতে চাইলেও ধানের দাম কম হওয়ায় কেউ রাজি হয়নি।

খোঁজ পেয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন রাজশাহী মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং পবা উপজেলার নেতা-কর্মীরা চলে যায় স্বেচ্ছাশ্রম দিতে।

কামরুজ্জামান তার অসহায়ত্বের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, পয়সার জোর থাকলে এতদিন ধান গুলো পড়ে থাকেনা। এই ধান ফলানোই আমার একমাত্র জীবিকা। বছরটা কিভাবে যাবে জানিনা।”

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইয়াসিন আরাফাত বলেন, কৃষক মেরে উন্নয়ন চাইনা। ছাত্র হিসেবে কৃষকের দুর্দিনে পাশে দাঁড়ানো যেমন আমাদের দায়িত্ব তেমনি এই কর্মসূচী বর্তমান কৃষি ব্যাবস্থায় যে অরাজকতা তার বিরুদ্ধে আমাদের এক প্রকার প্রতিবাদ ও বটে।”

তিনি বলেন, আমাদের পরিষ্কার দাবি, কৃষকের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। কালোবাজারী ও মধ্যস্তকারী সুবিধাভোগী গোষ্ঠীকে বিলুপ্ত এবং সরকারি নীতি কৃষকবান্ধব করতে হবে।

বাংলাদেশের কৃষিখাতে অব্যবস্থাপনায় যে অরাজকতা চলছে তা দ্রুত নির্মূল করে কৃষকের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে এবং সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে ধানের সর্বনিম্ন মূল্য মণপ্রতি এক হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

সংগঠনের মহাগরের সম্পাদক জিন্নাত আরা বলেন,‘মন্ত্রণালয়ে এসি রুমে বসে কৃষকের স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, এই রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় কৃষকের প্রতিনিধিত্ব থাকা অত্যান্ত জরুরি ছিল যা নিশ্চিত হয়নি।’


শর্টলিংকঃ