সড়কে নেই, মার্কিং আছে প্রকৌশলীর অফিসের প্রবেশপথে


বিশেষ প্রতিবেদক :

রাজশাহীর সড়ক-মহাসড়কগুলোতে নেই ট্রাফিক সাইন, সিগন্যাল ও রোড মার্কিং। কিন্তু সড়ক ভবনে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ফটকের সামনে ক্রস মার্কিং ব্যবহার করে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে, সেখানে গাড়ি দাঁড়ানো নিষিদ্ধ। অনেকেই বলছেন, এখানে আইন কেবল নিজের সুবিধার জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ সড়কে নেই।

রাজশাহী সড়ক ভবনে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের প্রবেশপথে এই ক্রস মার্কিং    -আবু সাঈদ

আগের মতোই চলছে যানবাহন। বেশির ভাগই রোড মার্কিং মিলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও একেবারেই নেই। এ নিয়ে এখনো নির্বিকার সড়ক ও জনপথ বিভাগ।ফলে চলতিপথে নতুন সড়ক পরিবহন আইনের সুফল মিলছে না। এতে চালকদের কেবল আইনের ভীতিই বেড়েছে, সড়কে বাড়ে নি

নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকেই তাড়া বেশ। অথচ রাজশাহীর সড়ক ও মহাড়কগুলোতে নেই ট্রাফিক সাইন, সিগন্যাল ও রোড মারকিং। ফলে আইন মেনে চলতে কেবল দুর্ভোগই বাড়ছে, সুফল মিলছে না।রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্জেন্ট তোফায়েল আহমেদ জানান, নগরীর ট্রাফিক সিগন্যাল লাইটগুলো পুরোপুরি অকেজো। তাই চালক ও পথচারীরা বুঝতে পারেন না, কখনো কী নিয়ম মানতে হবে। এ কারণে শৃংখলা ফেরানো যাচ্ছে না।

হাইওয়ে পুলিশও বলছে, মহাসড়কে সিগন্যাল ও মার্কিং থাকলে অনেকক্ষেত্রেই চালকরাও তাৎক্ষণিকভাবে করণীয় ঠিক করতে পারেন না।ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। রাজশাহীর পবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাজল কুমার নন্দী বলেন, মহাসড়কে রোড মার্কিং দেয়া ছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে উঠে গেছে। তাছাড়া চালকরাও জানেন না, কোনো মার্কিং বা সিগন্যালের মানে কী? এটি বড় সমস্যা।

তবে সড়ক-মহাসড়কে সিগন্যাল ও মার্কিং বসাতে এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ রাজশাহী সার্কেলের সহকারী পরিচালক এএসএম কামরুল হাসান।

তবে এ বিষয়ে রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগে গিয়েও কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে সার্ভেয়ার আনোয়ারুল আজিম জানান, সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণের সময়ই সিগন্যাল ও মার্কিং বসানো হয়। কোথাও না থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, প্রায় ৩০বছর আগে কোটি টাকা খরচ করে নগরীতে ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো কখনোই ব্যবহার হয় নি। পড়ে থেকে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া, সড়কে মার্কিং না থাকায় চালকরা বিপাকে পড়ছেন। পার্কিং জোনও নির্দিষ্ট করা নেই। কিন্তু কোনো কোনো কর্মকর্তা তা নিজের স্বার্থে ঠিক ব্যবহার করছেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, রাজশাহীতে সড়ক-মহাসড়ক রয়েছে ৪২০ কিলোমিটার।


শর্টলিংকঃ