- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

হরমুজ প্রণালীতে ক্লাস্টার বোমাবাহী যুদ্ধবিমানের টহল, কী করবে ইরান?


ইরানের সঙ্গে বেড়ে চলা উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের পক্ষ থেকে হরমুজ প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাস্টার বোমাবাহী অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান টহল দিচ্ছে। খবর স্পুটনিক।

ডিফেন্স ভিজ্যুয়াল ইনফরমেশন ডিস্ট্রিবিউশন সার্ভিস (ডিভিআইডিএস) জানিয়েছে, মার্কিন বিমানবাহিনী এফ-১৫ই ঈগলস যুদ্ধবিমানগুলো পারস্য উপসাগরে সামুদ্রিক এবং ভূমি যুদ্ধের মহড়াতে যোগ দিয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল ধাফরা বিমানঘাঁটিতে যুদ্ধবিমানগুলোতে ক্লাস্টাড বোমা সংযুক্ত করা হয়েছে। আরব উপসাগরে নৌবাহিনীর জাহাজগুলো হরমুজ প্রণলী পার হওয়ার সময় এফ-১৫ই যুদ্ধবিমান টহল মিশন পরিচালনা করবে।

এ এফ-১৫ই যুদ্ধবিমান আকাশ থেকে আকাশে এবং ভূমিতে অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম। ওই অঞ্চলে এ যুদ্ধবিমানগুলো উন্মুক্ত বাণিজ্যের জন্য কাজ করবে।

এফ-৩৫ই যুদ্ধবিমানগুলোতে মাঝারি ধরনের আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমানটির ডানায় স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রয়েছে।

এই অঞ্চরে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। গত জুলাই মাসে জিব্রালটার উপকূলে ইরানি জাহাজ আটকের পর তেহরান যুক্তরাজ্যের পতাকবাহী একটি তেলের জাহাজ আটক করে।

এদিকে কয়েকমাস ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের ওপর নিষেধাজ্ঞা জাড়ি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি এটিকে শিশুসুলভ কাজ এবং কূটনৈতিক কার্যক্রমের পথে বাধা’ বলে মন্তব্য করেছেন।

জাভেদ জারিফের সাক্ষাৎকারে ভয় পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র এমন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রুহানি বলেন, মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে,তারা কোনো ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই ইরানের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী অথচ এর মধ্যেই তারা (জারিফের ওপর)নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

তিনি বলেন,মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে পরিষ্কার হয়েছে যে,ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফের যুক্তি ও সাক্ষাৎকারগুলোকে তারা ভয় পায়।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বুধবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করে।জারিফ সম্প্রতি নিউইয়র্ক সফরে গিয়ে কয়েকটি পশ্চিমা গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেয়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন।

বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন,যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে বিশ্ব শক্তি’ মনে করে অথচ আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারকেই তারা ভয় পায়।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে জাভেদ জারিফের কোনো অর্থ যুক্তরাষ্ট্র কিংবা দেশটির কোনো সংস্থায় থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করে দেয়া হবে।এ ছাড়া তার বিদেশ সফরও সীমিত হয়ে পড়বে।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন এক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার বেপরোয়া এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন জারিফ এবং বিশ্বব্যাপী দেশটির প্রধান মুখপাত্রের ভূমিকা রাখছেন তিনি।