হাইকোর্ট: সারোয়ার আলমসহ র‍্যাবের তিন ম্যাজিস্ট্রেট অদক্ষ


ইউএনভি ডেস্ক:

ভ্রাম্যমাণ আদালতে বেআইনিভাবে ১২১ শিশুর বিচার করার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সমালোচনা করে এমন মন্তব্য করলো হাইকোর্ট । সারোয়ার আলমসহ র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে “অদক্ষ” (incompetent) আখ্যায়িত করেছেন হাইকোর্ট। ভ্রাম্যমাণ আদালতে বেআইনিভাবে ১২১ শিশুর বিচার করার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সমালোচনা করে এমন মন্তব্য করলেন হাইকোর্ট।

র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ফাইল ছবি/ঢাকা ট্রিবিউন
র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ফাইল ছবি/ঢাকা ট্রিবিউন

বুধবার (১১ মার্চ) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করে। র‍্যাবের অন্য দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হলেন- আক্তারুজ্জামান ও নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

ঢাকা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত হাসান।

হাইকোর্টের মন্তব্য, “অভিযুক্ত ১২১ শিশুর মধ্যে রাজধানীর ফার্মগেট ও শ্যামলী এলাকায় ২৩ শিশুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে ৩২ মিনিটে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির প্রক্রিয়া ও প্রত্যেকের জবানবন্দির সময় বিবেচনায় এটা পরিষ্কার যে, ওই তিন ম্যাজিস্ট্রেটের আইন সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। একইসঙ্গে আইনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাও নেই।”

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিচারক ও প্রসিকিউটর উভয় ভূমিকা পালন করে থাকেন। যা সংবিধানের ৩৩ ও ৩৫ ধারা ও আইনের পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেছেন হাইকোর্টের বিচারকদ্বয়।

আরও পড়ুন: মার্কিন বিমান হামলায় ইরাকের ২৬ যোদ্ধা নিহত

প্রসঙ্গত, গতবছরের ৩১ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে ১২ বছরের কম বয়সী অভিযুক্তদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে বেঁধে দেওয়া হয় ৬ মাস সময়। আর বুধবার এক রায়ে ওই ১২১ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আনা অভিযোগ বাতিল করেছে আদালত।

সুত্রঃ ঢাকা ট্রিবিউন


শর্টলিংকঃ