হারপিক পান করে আত্মহত্যা করলেন শিক্ষিকা


ইউএনভি ডেস্ক:
সিলেটের বিশ্বনাথে হারপিক পান করে আসমা শিকদার সীমলা (৪০) নামে এক স্কুলশিক্ষিকা আত্মহত্যা করেছেন। হারপিক পান করার দুইদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বিদ্যালয় গভর্নিং বডির সদস্য আনোয়ার হোসেনকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ।

হারপিক পান করে আত্মহত্যা করলেন শিক্ষিকা

আসমা শিকদার সীমলা উপজেলার বাহাড়া-দুভাগ গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী। দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে দৌলতপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অফিস সহকারীর পাশাপাশি সহকারী শিক্ষিকার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বুধবার (৮ জুলাই) লাশের ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাবার বাড়ি উপজেলার আটপাড়া গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

এর আগে গত সোমবার হারপিক পান করার পর তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুইদিন পর বুধবার সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আসমার মৃত্যু নিয়ে তার স্বামী ও গভর্নিং বডির সভাপতির পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। আসমার স্বামী ফজলু মিয়ার অভিযোগ, বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির নতুন সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুর রউফ, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হাসিম উদ্দিন ও কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন ওই বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে চাপ সৃষ্টি করায় অপমানে আসমা হারপিক পান করেন।

অপরদিকে গভর্নিং বডির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আসমা হারপিক পান করে আত্মহত্যা করেছেন। কারণ তার দেবর দৌলতপুর ইউনিয়নের মেম্বার শাহীন আহমদ বছর খানেক আগে আসমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে তিনি স্কুলের সামনের একটি বাসায় ভাড়ায় ওঠেন।

তবে শাহীন আহমদ মেম্বারের দাবি ভাই কিংবা ভাবির সঙ্গে তার কোনো বিরোধ নেই, এমনিক বাড়ি থেকেও বের করে দেননি।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব রয়েছে।

এরই জেরে সম্প্রতি সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহীদকে বাদ দিয়ে প্রবাসী আব্দুর রউফকে সভাপতি করে গত ৬ জুন ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, স্কুলশিক্ষিকা আসমার মৃত্যুর ঘটনায় বিদ্যালয়ের নতুন কমিটির একজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।


শর্টলিংকঃ