Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

হাসপাতালে ভিআইপি হালে থাকা জিকে শামীম অবশেষে কারাগারে


ইউএনভি ডেস্ক: 

আট মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভিআইপি হালে চিকিৎসাধীন থাকা ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার বিতর্কিত ঠিকাদার জিকে শামীমকে অবশেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর আগে জিকে শামীমের চিকিৎসা শেষ এবং তিনি সুস্থ আছেন বলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ এপ্রিল ডান হাতের চিকিৎসার জন্য কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জিকে শামীমকে বিএসএমএমইউতে আনা হয়। দুইদিনের মধ্যে চিকিৎসা সম্পন্ন করে তাকে ফের কারাগারে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু মাসের পর মাস গেলেও তাকে কারাগারে পাঠানো হয়নি। এরমধ্যে কারাগার থেকে জিকে শামীমকে ফেরত পাঠানোর জন্য বিএসএমএমইউতে বেশ কয়েকবার চিঠিও দেয়া হয়েছে।

চিকিৎসার কথা বলে আট মাসের বেশি সময় ধরে বিএসএমএমইউতে থেকে যান একসময়কার প্রভাবশালী এই ঠিকাদার। হাসপাতালের প্রিজন্স অ্যানেক্স ভবনের ৪তলা ভবনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে ভিআইপি হালে ছিলেন তিনি।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সাত বডিগার্ডসহ গ্রেফতার হন জিকে শামীম। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচার আইনে তিনটি মামলা করা হয়। মামলাগুলোর এজাহারে শামীমকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করা হয়।

২১ সেপ্টেম্বর শামীমের অস্ত্র ও মাদক মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। একই সঙ্গে সাত বডিগার্ডের অস্ত্র আইনের মামলায় চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়। সাত বডিগার্ডের চার দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর মঙ্গলবার অর্থপাচার আইনের মামলায় তাদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর পর আরও কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিকে শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

মামলায় বলা হয়, আসামির বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনের মামলা ছাড়াও অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা রয়েছে।

এদিকে গত বছরের ২৭ অক্টোবর র‌্যাব-১ এর এসআই শেখর চন্দ্র মল্লিক সাত বডিগার্ডসহ জিকে শামীমের বিরুদ্ধে আদালতে অস্ত্র আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় ইতোমধ্যেই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়েছে।


Exit mobile version