১০০ ডলারের ভেন্টিলেটর বানাচ্ছে এমআইটি


ইউএনভি ডেস্ক:

করোনাভাইরাস যত ছড়িয়ে পড়ছে তত বাড়ছে জটিল রোগীর সংখ্যা, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেন্টিলেটরের চাহিদা।ভেন্টিলেটরের এই বর্ধমান চাহিদা মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) একটি কম খরচের ভেন্টিলেটরের উপর পরীক্ষা চালাচ্ছে।

১০০ ডলারের ভেন্টিলেটর বানাচ্ছে এমআইটি

ই-ভেন্ট বা ইমার্জেন্সি ভেন্টিলেটর নামের এই যন্ত্রটি কেবল ১০০ ডলার খরচে তৈরি করা সম্ভব। ভেন্টিলেটরটির নকশা সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে এমআইটি। তারা নিজেরাও একটি প্রোটোটাইপ নির্মাণ করে পরীক্ষা চালাচ্ছে।তবে এমআইটির তরফ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে এটি যেন কেউ বাসায় বসে ডিআইওয়াই প্রকল্প হিসেবে নির্মাণের চেষ্টা না করেন।

এটি একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর যন্ত্র যা কেবল ক্লিনিকাল ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা নির্মাণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত।এমআইটির সাবেক ছাত্রদের প্রকল্প ছিল ই-ভেন্ট। ২০১০ সালে যন্ত্রটির বিস্তারিত নকশা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এই নকশার উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা সেখানেই থেমে যায়। প্রয়োজনের এই সময়ে আবারও নকশাটির উপর আবার কাজ শুরু হয়েছে।এমআইটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয় ই-ভেন্ট সনাতনী পদ্ধতিতে একটি ব্যাগ ভাল্ব ব্যবহার করে যাকে রিসাসিটেটর (আম্বু) বলা হয়।

এই ব্যাগটিকে জরুরী সময়ে (যেমন হার্ট অ্যাটাক) শ্বাসন্ত্রের কার্যকারিতা চালু রাখতে ব্যবহার করা হয়। তবে সমস্যার বিষয় হচ্ছে, এটি ব্যবহার করার জন্য অত্যন্ত দক্ষ লোকের প্রয়োজন হয়। একটু এদিক সেদিক হলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। তবে আশার বিষয় হচ্ছে, এই কাজটিকে এমআইটির গবেষকরা স্বয়ংক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে।

কোনও অর্থায়ন ছাড়া স্বেচ্ছাসেবা প্রকল্প হিসেবে এমআইটি এই ভেন্টিলেটর তৈরি করছে।এদিকে, মার্সেডিজের ফর্মুলা ওয়ান ও ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন মিলে একটি ব্রিদিং এইড (শ্বাস সহায়ক যন্ত্র) নির্মাণ করেছে যা রোগীদের ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন কমাতে পারে।করোনাভাইরাস মহামারিতে উন্নত, উন্নয়নশীল; সব দেশেই ভেন্টিলেটরের ঘাটতি প্রকাশ পেয়েছে। অত্যন্ত জটিল এবং খরুচে উপাদানটির দামও অনেক বেশি। অনেক ক্ষেত্রে ৩০ হাজার ডলারেরও বেশি। আশার বিষয় হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কোম্পানি, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র প্রকৌশলী ও গবেষক যন্ত্রটির উন্নয়নে কাজ করছে।


শর্টলিংকঃ