১০ মাস আগে মৃত ব্যক্তিও বোমা হামলার আসামি! 


নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

এক বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আবদুল লতিফ (৬২)।তবে ১৭ আগস্ট মনাকষা ইউনিয়নের কুমিরাদহ বিলের একটি ঘটনায় বোমা হামলার মামলার ৭নং আসামি করা হয়েছে তাকে। সম্প্রতি মামলার আসামি হিসেবে মৃত আবদুল লতিফকে গ্রেফতার করতে তার বাড়ি ধাইনগর গ্রামে রাতে অভিযান চালায় জেলা ডিবি পুলিশের দল।


পুলিশ অভিযানে গিয়ে জানতে পারেন লতিফ এক বছর আগেই মারা গেছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, কুমিরাদহ বিলের ইজারা ও দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দু’পক্ষের মধ্যে রেষারেষি চলে আসছে। আইনি প্রক্রিয়ায় বিলটি দখলে নিতে না পেরে প্রতিপক্ষ মনাকষা গ্রামের আলফাজ উদ্দিন বোমা বিস্ফোরণ, হামলা ও অগ্নিসংযোগের মামলা করেন আদালতে। সেখানে মৃত লতিফ ছাড়াও তার দুই ভাই এবং এলাকার মৎস্যজীবীদের ঢালাওভাবে আসামি করা হয়েছে।

এ মামলাটি শিবগঞ্জ থানায় রেকর্ড হলেও জেলা ডিবি পুলিশ আসামিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিনরাত হয়রানি করছে। এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার ও রাজশাহীর ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

ডিআইজি বিষয়টি পৃথকভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৃত্যু সনদ অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর আবদুল লতিফ মারা যান।

এলাকাবাসীর মতে, ওইদিন লতিফ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১  (শিবগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি ডা. শিমুলের নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন। পথিমধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত লতিফের ভাই মতিউর রহমান অভিযোগে বলেন, তার ভাই গত বছর ২০ ডিসেম্বরে মারা যান। লতিফ তার বড় ভাই ছিলেন এবং তার বয়স ছিল ৬২ বছর। অথচ মামলাতে লতিফের বয়স দেখানো হয়েছে ৪৭ বছর এবং মতিউর রহমানের বয়স দেখানো হয়েছে ৫০ বছর।

কুমিরাদহ বিলটি দখলে নিতে প্রতিপক্ষ কাইয়ুম রেজা চৌধুরীর পক্ষে তার ম্যানেজার পরিচয়ে আলফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ২১ আগস্ট আদালতে এ মিথ্যা মামলাটি করেন বলে দাবি মতিউর রহমানের।


শর্টলিংকঃ