Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

১২ স্থানে বিপদসীমার ওপর নদ-নদীর পানি


সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, দেশের ৯৩টি নদ-নদীর পানি ১২টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ৯৩টি নদ-নদীর পানি ৭৭টি পয়েন্টে বৃদ্ধি ও ১৪টি পয়েন্টে হ্রাস পেয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের সিকিম, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশসমূহের বিস্তৃত এলাকায় আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী এবং কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল সংলগ্ন ভারতের বিহার এবং নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

শুক্রবার নদ-নদীর পরিস্থিতি সম্পর্কে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পানি পরিস্থিতি একটি পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে এবং একটি পয়েন্টের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্ট, চিলমারি ও গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্ট, ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্ট এবং তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্ট বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, সোমেশ্বরী, ফেনী, হালদা, মাতামুহুরী ও সাঙ্গুসহ প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান ও লালমনিরহাট জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯ পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জ ও রাঙ্গামাটি স্টেশন এলাকায় ১৬৫ মিলিমিটার, জাফলংয়ে ১৫৫ মিলিমিটার, টাঙ্গাইলে ১৩৫ মিলিমিটার, শেওলায় ১৩০ মিলিমিটার, দক্ষিণবাগে ১২০ মিলিমিটার, পঞ্চগড়ে ১০২ মিলিমিটার, ছাতকে ১০০ মিলিমিটার এবং রামগড়ে ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।


Exit mobile version