১৬ টাকায় নামলো ডিএপি সার


কৃষি উৎপাদন খরচ কমাতে ডিএপি সারের দাম কেজিপ্রতি ৯ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে, যা আগে ছিল ২৫ টাকা। এই দাম কমানোয় ডিএপি সারে প্রণোদনা বাবদ বছরে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে সরকারের।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সরকার এ নিয়ে পাঁচ দফায় সারের দাম কমালো।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকের উৎপাদন খরচ হ্রাস, সুষম সার ব্যবহারে কৃষককে উদ্বুদ্ধকরণ, ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারের দাম পুনরায় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, ৮০ টাকার টিএসপি সার ২২ টাকা, ৭০ টাকার এমওপি ১৫ টাকা ও ৯০ টাকার ডিএপি ১৬ টাকায় দেওয়া হচ্ছে। ডিএপি সারে ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন (অ্যামোনিয়া ফর্মে) এবং টিএসপি সারে সমপরিমাণের ফসফেট রয়েছে। ফলে এই সার প্রয়োগে ইউরিয়া ও টিএসপি—উভয় সারের সুফল পাওয়া যায়। ফলে ইউরিয়া ও টিএসপি সারের ব্যবহার হ্রাস পেয়ে অর্থ ও শ্রম—উভয়েরই সাশ্রয় হয়। ডিএপি সারের মূল্যহ্রাসের ফলে কৃষকের উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে বলে জানান তিনি।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের কৃষক অপেক্ষাকৃত কম দাম হওয়ায় এবং অভ্যাসগত কারণে ইউরিয়া সার বেশি ব্যবহার করে থাকেন। ইউরিয়া সার ব্যবহারের প্রভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধি পায়। ফলে সবুজ উদ্ভিদ আরও সবুজ হয় এবং কীটপতঙ্গের আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। এতে ফসলের জমিতে বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকার আক্রমণসহ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। এতে কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।

অন্যদিকে ডিএপি সার ফসফেট ও নাইট্রোজেন সহযোগে একটি মিশ্র সার হওয়ায় এর ব্যবহারে গাছ শক্তিশালী হয়, ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও ফসল পুষ্ট হয়। ফলে কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস পাবে। এর ফলে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে ক্ষতিকর কীটনাশকের আমদানি কমে যাবে। সেই হিসাবে ডিএপি সার মানসম্পন্ন ফসল উৎপাদনে কার্যকর ও পরিবেশবান্ধব বলে মন্তব্য করেন তিনি।


শর্টলিংকঃ