১ নভেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগে পরিবহন ‘ধর্মঘটের’ ডাক


ইউএনভি ডেস্ক: 

৩১ অক্টোবরের মধ্যে আট দফা দাবি আদায় না হলে আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন পরিবহনমালিক–শ্রমিকেরা। শনিবার বগুড়ার চারমাথা বাস টার্মিনাল এলাকার একটি মোটেলে আয়োজিত রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক–শ্রমিক যৌথ কমিটির সভা শেষে সন্ধ্যায় এই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

সভা শেষে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক–শ্রমিক যৌথ কমিটির সভাপতি মো. আনছার আলী এবং বিভাগীয় পরিবহন মালিক–শ্রমিক যৌথ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আট দফা দাবি তুলে ধরেন। এ সময় দাবি আদায়ে সরকারকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে ১ নভেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলা ছাড়াও বগুড়া থেকে উত্তরবঙ্গের সব জেলায় পরিবহন চলাচল বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

তাঁদের দাবির মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ করা, সিটি করপোরেশনের বাইরে বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাস চলাচল বন্ধ করা, সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের কাগজপত্র তল্লাশির নামে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ করা, বিআরটিসির লিজ (ইজারা) প্রথা বাতিল করা, সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ করা ইত্যাদি।

সভা শেষে আমিনুল ইসলাম  বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিআরটিসির বাস ডিপো থেকে ডিপোয় চলাচল করার কথা। কোনো উপজেলা পর্যায়ে বিআরটিসির বাস চলাচল করার কথা নয় এবং মাঝপথে কোনো কাউন্টার থাকা কিংবা যাত্রী ওঠানামা করার কথা নয়। অথচ উত্তরবঙ্গে ১৮ উপজেলায় বিআরটিসির বাস চলাচল করছে। মালিক-শ্রমিকদের চুক্তি অনুযায়ী, বিআরটিসির ডাবল ডেকারের বাস সিটি করপোরেশনের বাইরে চলাচল করার কথা নয়। অথচ বগুড়া ডিপো থেকে জয়পুরহাট রুটে হঠাৎ করে বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাস চালু করা হয়েছে।

আমিনুল আরও বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গাড়ির ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিটসহ সব ধরনের কাগজপত্র হালনাগাদের সময়সীমা বর্ধিত করা হয়। অথচ সড়ক, মহাসড়কে গাড়ির কাগজপত্র তল্লাশির নামে পুলিশ মালিক-শ্রমিকদের হয়রানি ও চাঁদাবাজি করছে।


শর্টলিংকঃ