১ হাজার ডলারে মিলবে নিশ্চিত প্রণোদনা


চলতি অর্থবছরের বাজেটের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ দেশে অর্থ পাঠালে মিলবে প্রণোদনা। এই পরিকল্পনা ইতোমধ্যে পাস হয়ে গিয়েছে। সেই সাথে জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে এটি কার্যকর করেছে সরকার। বছরে যারা ১ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠাবেন তাদের জন্য থাকছে নিশ্চিত প্রণোদনা।

বছরে এক হাজার ডলার পর্যন্ত রেমিট্যান্স দেশে পাঠালে বিনা প্রশ্নে প্রণোদনা পাবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ বিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সায় দিলেই তা বাস্তবায়ন হবে।

চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) জন্য মুদ্রানীতি (মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট) ঘোষণাকালে এসব কথা জানানো হয়।রেমিট্যান্স বিষয়ে ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেমিট্যান্স প্রণোদনার বিষয়ে একটি খড়সা নীতিমালা করে তা প্রস্তাব আকারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আমরা প্রস্তাবে বলেছি, কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি বছরে এক হাজার ডলার পর্যন্ত রেমিট্যান্স পাঠালে তিনি সরাসরি প্রণোদনা পাবেন।

এমন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তবে এটি কম-বেশি হতে পারে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।ছোট ছোট গ্রাহকদের জন্য সিলিং নির্ধারণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে আহমেদ জামাল বলেন, এটি প্রস্তাব আকারে দেয়া হয়েছে, সেটা হতে পারে ৫০০, ৬০০ বা সর্বোচ্চ এক হাজার ডলার। এর বেশি যারা রেমিট্যান্স পাঠাবেন তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডকুমেন্ট প্রদর্শনের প্রয়োজন হবে।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, ১ জুলাই থেকে যারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন তাদের ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হবে।অর্থমন্ত্রী আরো জানান, গত ৩০ জুন সংসদে বাজেট পাস হয়েছে। ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। তবে এগুলো ফাংশনালের জন্য কিছু সময় লাগে।

লিগ্যালওয়েতে রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য চলতি অর্থবছর থেকেই ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয়া হবে। এটা আমরা বাজেটে পাস করেছি। কিন্তু সিস্টেম এখনও ডেভেলপ করতে পারিনি। প্রণোদনা দেয়ার জন্য সিস্টেম আপডেট করতে আরও দু-তিন মাস সময় লাগবে।

সামনে ঈদ, অনেকেই ধারণা করছেন যে, এখন দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে তারা প্রণোদনা পাবেন না, এটা কিন্তু ঠিক নয়। এটা যেহেতু বাজেটে পাস হয়েছে সেহেতু এখন রেমিট্যান্স পাঠালেও ২ শতাংশ প্রণোদনা ছয় মাস পর হলেও পাবেন। এখন পাঠালেও পাবেন, পরে পাঠালেও পাবেন। অর্থাৎ ১ জুলাই থেকেই যারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন তারাই ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা পাবেন। এক্ষেত্রে সিস্টেমটা ডেভেলপমেন্ট করতে আমরা দ্রুত কাজ করে যাচ্ছি বলে জানিয়েছেন তিনি।

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমিয়ে চলতি অর্থবছরের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূল্যস্ফীতি ৫.৫০ শতাংশ পরিমিত রেখে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত ঋণপ্রবাহের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতি আগের মতো সতর্কভাবে সংকুলানমুখী রয়েছে বলে জানান গভর্নর ফজলে কবির।

নতুন মুদ্রানীতিতে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এর মধ্যে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের জুন পর্যন্ত লক্ষ্য ছিল ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।


শর্টলিংকঃ