৫৩ জনকে রেখেই পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের অনশন


রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষার একটি কোর্সে ৫৩ জনকে রেখে মাত্র ১১ জনের পরীক্ষা গ্রহণ করেছে বিভাগ।

রাবি প্রশাসন ভবনের সামনে অনশন করেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা

শনিবার অনুষ্ঠিত ওই কোর্সের পরীক্ষা পিছিয়ে নতুন সূচিতে পরীক্ষা গ্রহণের দাবি ছিল বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা। কারণ গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) তাদের সহপাঠী কানিজ ফাতেমার বাবা মারা যান।

সহপাঠীর কথা চিন্তা করেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করেছিল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে তাতে ভ্রুক্ষেপ করেনি বিভাগের সভাপতি ও পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা।

বিভাগ সূত্র জানায়, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিভাগের ৩৪১ ও ৩৪২ নম্বর কক্ষে ৫০২ নম্বর কোর্সের পরীক্ষার আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। সেখানে মাস্টার্সের ৬৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

বাকি ৫৩ জন সহপাঠী কানিজের জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি করে অংশ নেননি। তবে বিভাগ কর্তৃপক্ষ অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহণ করেন।

এদিকে ওই কোর্সের পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে তারা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু সেখানে এসে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অনশন কর্মসূচি বন্ধ করে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা। তবে দাবি না মানা হলে পুনরায় কর্মসূচিতে নামবে বলে জানান তারা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমার বাবা হঠাৎ মারা যান। এঘটনায় পূর্বনির্ধারিত ৫০২ কোর্সের পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন করার জন্য বিভাগের পরীক্ষা কমিটির কাছে অনুরোধ জানান শিক্ষার্থীরা। তবে দাবি উপেক্ষা করে পূর্বনির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নেয় বিভাগ।

জানতে চাইলে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সাবিনা সুলতানা জানান, ‘পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত ছিলো। পরীক্ষা স্থগিত করার কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি। এখন যারা পরীক্ষা দিতে এসেছে, তাদের নিয়েই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

শিক্ষার্থীর বাবা মারা যাওয়ার বিষয়টি তার দৃষ্টিগোচর করা হলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বলেছিলো স্থগিত করতে, তবে পরীক্ষা কমিটি ও বিভাগীয় সভাপতি মনে করেছে, পরীক্ষা স্থগিত করা হবে না। তাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ এ দায় কমিটির সভাপতির নয় বলেও দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. এনামুল হকের মোবাইলে বেশ কয়েকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায় নি। পরে এসএমএস দিয়েও তার কোনো প্রতিউত্তর মেলেনি।


শর্টলিংকঃ