Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

ইবিতে প্রশাসনের আশ্বাসে স্থগিত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন


নিজস্ব প্রতিবেদক, ইবি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্দোলনরত ২২ শিক্ষার্থীকে মুক্তি ও দাবি পূরণে প্রশাসনের আশ্বাসের পর আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন। একই সঙ্গে বুধবার ভোররাতে আটক ২২ শিক্ষার্থীকে বিকেলে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘোষিত জরুরি অবস্থাকে উপেক্ষা করে বুধবার সকাল ১০টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

একদিকে আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবীতে প্রশাসন ভবনের গেট অবরোধ করে আন্দোলন করতে থাকে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে ফি কমানোর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ও প্রশাসন ভবন অবরোধ করে আন্দোলন করতে থাকে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

দ্বিমুখী আন্দোলনে পুরো ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। অপরদিকে প্রশাসন সকল প্রকার মিছিল-মিটিংয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে বন্ধ থাকে সকল বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা।

এদিকে বর্ধিত ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলনে নামা শিক্ষার্থীরা বেলা ১২ টার দিকে প্রথমে মুক্তবাংলা চত্তরের পাশে অবস্থান নেয়। পরে মূল ফটক বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। একই সাথে তারা মূল প্রশাসন ভবনের দুই গেট অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকে।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ করেন প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিরা। সেখানে ভর্তি না হয়ে কেবলমাত্র ফরম ফিলাপ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

এর আগে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে বর্ধিত ফি রিভিউ করার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেয় প্রশাসন। এতে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেনকে আহবায়ক করা হয়।

আরও পড়ুন: বিক্ষোভ-অবরোধ উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

কমিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসান উল আম্বিয়াকে সদস্য এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক মিন্টু কুমার বিষ্ণুকে সদস্য সচিব করা হয়।

কমিটির সিদ্ধান্তের আগে শিক্ষার্থীদের সেশন ফি ও পুনঃভর্তি ফি দিতে হবেনা শুধু ফরমফিলাপের টাকা জমা দিতে হবে। সেইসাথে শিক্ষার্থীদের দাবির একটি যৌক্তিক সমাধান করা হবে এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আন্দোলন স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্য ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘আমি নিজে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছি। কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন: ইবিতে ‘কারফিউ’ ভেঙে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা, আটক ২২


Exit mobile version