Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

‘চলন্ত বাসে বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতটি আর জোড়া লাগবে না’


নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহীতে চলন্ত বাসে হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া কলেজ ছাত্র ফিরোজ সরদার আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তবে বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতটি আর জোড়া লাগানো সম্ভব নয়। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ফিরোজ সরদারকে আমরা হাসপাতালে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অপারেশন থিয়েটারে নিই। এরপর অপারেশন সম্পন্ন হয়। তিন দফা তাকে রক্ত দেয়া হয়েছে। এরপর নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিল। তবে সকাল থেকে স্বাভাবিক কথা বার্তা বলছে ফিরোজ। আপাতত কোনো শংকা নেই।

ডা. আলমগীর হোসেন আরো বলেন, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া হাতটি পুনরায় স্থাপন করার মতো ব্যবস্থা নেই আমাদের দেশে। তবে চাইলে তারা দেশের বাইরে গিয়ে কৃত্রিম হাত লাগাতে পারবে। সেটিও পরে। আগে তাকে পুরোপুরি সুস্থ হতে হবে। পরবর্তী চিকিৎসা এখানেই সম্ভব।

এদিকে, এ দুর্ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে দুপুরে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটি। মানববন্ধনে যোগ দিয়ে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান জানান, রোববার ফিরোজ সরদারের মাস্টার্স পরীক্ষা রয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে থাকার কারণে সে এবার আর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। তবে ফিরোজের চিকিৎসার সকল খরচ রাজশাহী কলেজ বহন করবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

শনিবার দুপর পর্যন্ত এঘটনায় মামলা হয় নি বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, বগুড়া থেকে ‘মোহাম্মদ’ পরিবহন নামের একটি বাসে ফিরোজ রাজশাহী ফিরছিল বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। তবে এসংক্রান্ত আরো তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। কিন্তু অপর কোন বাস বা ট্রাকের চাপায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা শনাক্ত করা যায় নি। তবে প্রাথমিক ধারণা, ট্রাকের চাপাতেই ফিরোজের হাত বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাটাখালি পৌরসভার সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে চলন্ত বাসে রাজশাহী কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফিরোজ সরদারের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তার বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার নামোইট গ্রামে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


Exit mobile version