Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

নিম্নমানের ইট ব্যবহারে বাধা দেয়ায় প্রকৌশলীকে পেটালো ঠিকাদারের ছেলে


নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাঘায় নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে কাজ বন্ধ করতে বলায় উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে মারপিট করেছেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদারের ছেলে। রবিবার দুপুরে বাঘা উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিব্র নিন্দা জানিয়ে আধাবেলা কলম বিরতি রাখেন উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্ত-কর্মচারীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে বাঘা উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডি) থেকে উপজেলার হাবাসপুর এলাকায় ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫ শ’ মিটার সাব-বেইজ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প বরাদ্দ পান রাজশাহীর ‘মম এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে এই কাজটি কিনে নেন স্থানীয় ঠিকাদার ও বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার। আর এটি দেখভাল করেন তার বড় ছেলে সেলিম আহাম্মেদ।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি আমরা রবিবার সকালে উপজেলা প্রকৌশলীকে মোবাইল ফোনে অবগত করি। এর কিছুক্ষন পর উপ-সহকারী প্রকৌশালী ফরিদ আহাম্মেদ ঘটনাস্থলে আসেন এবং শ্রমিকদের কাজ করতে বারণ করে অফিসে চলে যান। তারা আরো জানান, আব্দুল কুদ্দুস সরকার যে প্রকল্পের কাজ করছেন তার সব গুলোতেই অনিয়ম আর দুর্ণীতিতে ভরা। তার কাজে লোকজন বাধা দিলে তিনি দলীয় প্রভাব খাটান।

এদিকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহাম্মেদ অফিসে চলে আসার পর দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ঠিকাদার আব্দুল কুদ্দুস সরকারের বড় ছেলে সেলিম আহাম্মেদ সেখানে আসেন এবং ফরিদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনার এক পর্যায় সেলিম উপ-সহকারী প্রকৌশালী ফরিদ আহাম্মেদকে চড়-ধাপ্পড় মারেন এবং অফিস কক্ষের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। তবে ঠিকাদারের ছেলে সেলিম আহাম্মেদ উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহাম্মেদকে মারপিট করেননি বলে দাবি করলেও ধাক্কা দেয়ার কথা সত্যতা স্বীকার করেছেন।

বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী শ্রী-রতন কুমার জানান, অন্যায় ভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের গায়ে হাত তুলবে এটা মেনে নেয়া যায়না। তিনি এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

আরও পড়তে পারেন পুঠিয়ায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুষ্ঠানকে ঘিরে উত্তেজনা


Exit mobile version