Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

বড় ভাইয়ের পরোয়ানায় জেল খাটছে ছোটভাই


নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজশাহীতে বড় ভাইয়ের পরোয়ানায় জেল খাটছে ছোটভাই। ফলে এক মাস ধরে জেল খাটছেন সজল মিয়া (৩৪) নামের ওই ব্যক্তি। গত ২৬ মে সজল তার আইনজীবীর মাধ্যমে নিজের মুক্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। সজল মিয়ার বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া মহল্লায়। তার বাবার নাম তোফাজ উদ্দিন। সজলের বড় ভাইয়ের নাম সেলিম ওরফে ফজল।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি দীর্ঘ দিন ধরেই পলাতক। তার অনুপস্থিতিতেই ২০০৯ সালের ২৮ আগস্ট মামলার রায় হয়। সেদিন খালাস পান অন্য চার আসামি।

দীর্ঘ দিন ধরে লাপাত্তা সেলিমকে ধরতে গত ৩০ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে সজলের বাড়িতে অভিযান চালায় নগরীর শাহমখদুম থানা পুলিশ। সেদিন সজলকে গ্রেপ্তার করে সেলিম নাম দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে পুলিশের দাবি, তারা সঠিক আসামিকেই চিনেছেন। যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার নামই সেলিম এবং তিনিই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

এদিকে সজলের পক্ষ থেকে আদালতে মুক্তি চেয়ে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে যে আবেদন করা হয়েছে তাতে সজলের চার ভাই এবং চার বোনেরও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেগুলো সত্যয়িত করে দিয়েছেন। এছাড়া সজলের জমি খারিজের ডিসিআর, জমির দলিলসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছে। সজল এবং তার ভাই সেলিমের ছবি সম্বলিত এবং স্ট্যাম্পের কপিও দাখিল করা হয়েছে।

সজলের আইনজীবী মোহন কুমার সাহা বলেন, অপরাধী না হয়েও সজল সাজা ভোগ করছেন। পুলিশ হয়তো ভুল করে নয়তো প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নির্দোষ সজলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। বিষয়টি আদালতকে জানিয়ে তার মুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে। আদালতের বিচারক আগামী ১১ জুন সজলকে আদালতে হাজির করে শুনানীর জন্য দিন ধার্য্য করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, আমরা ঠিক আসামিকেই ধরেছি। মামলার সাক্ষীরা আসামিকে শনাক্ত করেছেন। এ নিয়ে তারা এফিডেফিটও করে দিয়েছেন। সেটি আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। তবে ভুল আসামি দাবি করে আদালতে মুক্তির আবেদনের বিষয়টি জানা নেই বলেই জানান ওসি।


Exit mobile version