Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

রাজশাহীর তিনটি স্টেডিয়াম হবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার


নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের স্থানীয় তিনটি স্টেডিয়ামে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এছাড়া এ ভাইরাসে নিশ্চিত আক্রান্ত হওয়া রোগীদের ইনফেকশন ডিজিস (আইডি) হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। এখন পর্যন্ত এই বিভাগে কোন রোগী না পাওয়া গেলেও, পূর্ব পস্তুতির অংশ হিসেবে প্রথমিক ভাবে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

করো না পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক

রাজশাহীর বিভাগের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য সোমবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন স্থানীয় জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

কোয়ারেন্টাইনের জন্য স্টেডিয়াম তিনটি হলো- সপুরা এলাকায় অবস্থিত জেলা মুক্তিযোদ্ধা স্টেডিয়াম, তেরোখাদিয়া এলাকায় অবস্থিত শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান স্টেডিয়াম ও মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্টেডিয়াম।

রবিবার বাংলাদেশে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্তের পর ঢাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকর্তকতার অংশ হিসেবে পূর্বপ্রস্তুতি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। রাজশাহীর স্থাস্থ্য বিভাগের পরিচালক বলেন, এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগী পাওয়া যায়নি। তবে জনস্বার্থে আগাম সতর্কতা হিসেবে আমরা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাখছি। ডেঙ্গু ইসুতেও সরা দেশের মতো রাজশাহীর সরকারি হাসপাতালগুলোতে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছিল। যার সুফল ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি।

স্টেডিয়ামগুলোকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার কারণ হিসেবে তিনি জানান, চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হলে অহেতুক রোগী ও তাদের স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া যদি রোগী পাওয়া যায় তবে তাদের পৃথক ভাবে যত্ন নেয়ায় যাবে। তাই এই ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে নেই করোনা নির্ণয়ের কীটস!

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে আইডি হাসপাতালের ৩০টি বেড সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া রামেক হাসপাতালের আইটডোরে ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। যারা সর্দি-খাশি-জ¦র নিয়ে আসবে, তাদের আলাদা ভাবে পরিচর্যা করা হবে। এছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে আরো দুইটি পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় গাউন ও মাস্ক আছে। তবে আরো সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হককে সভাপতি ও রাজশাহী জেলার সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হককে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওদের সমন্বয়ে পৃথক কমিটি করা হয়েছে।


Exit mobile version