ক্লিনসিটি-গ্রিনসিটি রাজশাহী দেখে অভিভূত নরওয়ে রাষ্ট্রদূত


বিশেষ প্রতিবেদক :

বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ে রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন বলেন, ‘এটি আমার প্রথম রাজশাহী সফর। ক্লিনসিটি-গ্রিনসিটি রাজশাহী দেখে অভিভূত হয়েছি। আগামীতে আমাদের পারস্পারিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে’।

            মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর গণহত্যার চিত্র নরওয়ে রাষ্টদূতের হাতে তুলে দেন সিটি মেয়র লিটন

 

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ে রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন। বুধবার  নগরভবনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময়ে রাজশাহীর উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন নরওয়ে রাষ্ট্রদূত।

দুপুর পৌনে ১টায় বাংলাদেশ নিযুক্ত নরওয়ে রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন সৌজন্য সাক্ষাতে আসলে তাকে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বরণ করে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় সিডসেল ব্লেকেনকে নগরভবনের বঙ্গবন্ধু কর্ণার ঘুরে দেখান মেয়র।

                                               নগর ভবনে নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ঘুরে দেখান মেয়র লিটন

এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধেও ইতিহাস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ কামারুজ্জামানসহ চার জাতীয় নেতার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন মেয়র। এরপর মেয়র দফতরে তারা মতবিনিময়ে মিলিত হন।

মত বিনিময়কালে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রথমবার মেয়র থাকাকালে নরওয়ের সাথে রাজশাহীর বন্ধুত্বপূর্ণ ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সে সময় নরওয়ে সফরে গিয়েছিলাম। কিন্তু ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমি দায়িত্বে না থাকায় সেই সম্পর্ক চলমান হয়নি। আমি আবারো মেয়র নির্বাচিত হয়েছি, আশা করছি এখন নরওয়ের সাথে রাজশাহীর সম্পর্ক আরও গভীর ও সৌহার্দপূর্ণ হবে।

এ সময় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এ অঞ্চলে তেমন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। আমি রাজশাহীর মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। সরকার রাজশাহীতে এতোমধ্যে তিনটি শিল্পাঞ্চল অনুমোদন দিয়েছে। আমার পরিকল্পনা রাজশাহীতে শতাধিক গার্মেন্ট-শিল্প গড়ে তোলার। এজন্য নরওয়ের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের অনুরোধ করছি।

এ সময় মেয়র রাজশাহীর উন্নয়নে নরওয়ের বন্ধুত্বের হাতকে আরো বেশি প্রসারিত করার আহ্বান জানান। মত বিনিময়কালে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ে রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন বলেন, এটি আমার প্রথম রাজশাহী সফর। ক্লিনসিটি-গ্রিনসিটি রাজশাহী দেখে অভিভূত হয়েছি।

   মতবিনিময়কালে হাস্যোজ্জ্বল মেয়র লিটন ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত

নরওয়ে রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, নরওয়ে এবং বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। নরওয়ের ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড সিটির অনেক মানুষ রাজশাহী সর্ম্পকে জানে। আগামীতে আমাদের পারস্পারিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। আমরা রাজশাহীর উন্নয়নে পাশে থাকবো। সৌজন্য সাক্ষাৎকালে নরওয়ে প্রতিনিধি দলে ছিলেন টর এনব্রেস টরহাগ, মারিয়া টরহাগ, পোন্ট্রাস, ব্রেজহেগেন, ডেগ ভিগসহ রাজশাহী ক্রিস্ট্রিয়ান ফ্রেন্ডশীপ কমিটির সদস্যবৃন্দ।

এ সময় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইমলাম বাবু, করপোরেশনের সচিব রেজাউল করিম, প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলারসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে নরওয়ে রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেনকে উপহার হিসেবে  বাংলাদেশ ডাক বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর গণহত্যার চিত্র  সম্বলিত ৭১টি ডাকটিকিট প্রদান করেন মেয়র লিটন। এ সময় মেয়র লিটনকেও শুভেচ্ছা উপহার দেন তারা।


শর্টলিংকঃ