পরীক্ষা চলাকালীন সন্তানের উদ্বেগ কাটাতে কী করবেন


পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের টেনশনে থাকা স্বাভাবিক। তবে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা শিক্ষার্থীর শরীর ও মনের উপর চাপ তৈরি করে। এ কারণে পরীক্ষার আগে, পরীক্ষা চলাকালীন বা ফল প্রকাশের আগে-পরে অনেকেই আশঙ্কা, অবসাদ, উদ্বেগে ভুগতে থাকে। তাদের এ ধরনের উদ্বেগ কমাতে বাবা-মাকেই সন্তানের প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে।মা-বাবার সহায়তা শিক্ষার্থীদের কাছে একটি নিরাপত্তা বলয় হিসাবে কাজ করে।

এই সময়ে যেভাবে সন্তানের পাশে থাকবেন
মানসিক সমর্থন : অভিভাবকদের সহানুভূতিশীল আচরণ সন্তানদের উদ্বেগ, ভয় এবং অনিশ্চয়তা প্রকাশ করার একটি নিরাপদ আশ্রয়। মা-বাবারা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করলে শিশুরা তাদের আবেগ পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করতে পারে।

লড়াই করার মানসিকতা : গঠনমূলক কথোপকথন এবং তাদের কথা শোনার মাধ্যমে মা-বাবারা তাদের সন্তানদের চ্যালেঞ্জগুলি কার্যকরীভাবে মোকাবিলা করার কৌশল জানাতে পারেন। অনুশীলন, সময়-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কীভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে সে ব্যাপারে বাবা-মায়েরা সহায়তা করতে পারেন।

ব্যবহারিক সহায়তা
পড়াশোনার সময়সূচি তৈরি, লক্ষ্য নির্ধারণ এবং শিক্ষাগত সহায়তার জন্য মা-বাবার পথ দেখানো খুব জরুরি। শেখার প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার মাধ্যমে, মা-বাবা সন্তানের সহযোগিতা করতে পারেন। বাবা-মাকে ইতিবাচক কথাবার্তা বলতে হবে। স্টাডি ব্রেক খুব জরুরি। সন্তানের সঙ্গে কথা বলে জানতে হবে কোন বিষয়ে তার সমস্যা হচ্ছে, বুঝতে পারছে না বা পিছিয়ে আছে। প্রয়োজনে কিছু বিষয়ে শিক্ষক রেখে দুর্বলতা কাটাতে হবে।

সার্বিক সুস্থতা
পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় স্বাস্থ্যকর জীবনধারা সার্বিক ভারসাম্য আনে। মা-বাবার সহানুভূতিশীল আচরণ এই সময়ে তাদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। শিক্ষার্থীদের নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া, অবসর যাপন , সামাজিক মেলামেশা সামগ্রিক সুস্থতাকে উৎসাহিত করে।


শর্টলিংকঃ