
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী :
নগরীর চন্দ্রিমা থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ডিবি পরিচয় দিয়ে শিক্ষককে জিম্মি করে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে । মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর শিরোইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষকের কৌশলে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করে স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী আশরাফুল আলম রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষক। তিনি নগরীর ভদ্রা এলাকার বাসিন্দা। অপরদিকে, অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- চন্দ্রিমা থানার এএস আই মোমিন এবং কনেস্টেবল মর্তুজা।
ভুক্তভোগী শিক্ষকের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে হাঁটতে বের হয়েছিলেন আশরাফুল আলম। শিরোইল এলাকায় রাস্তার পাশে অভিযুক্ত ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা একজন নারীর সাথে কথা বলছিলেন। আশরাফুল তাদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের কর্মকর্তারা তাকে ডেকে পথরোধ করেন। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর পুলিশ কর্মকর্তা মোমিন বলে ওঠেন, ‘আপনি ওই নারীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন কেনো? এটা তো খুব খারাপ।’
এ সময় তারা নিজেদেরকে ডিবি পরিচয় দিয়ে ওই শিক্ষককে ২০ হাজার টাকা দিতে বলেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এক পর্যায়ে পুলিশ চাঁদার পরিমাণ কমিয়ে ১২ হাজার দাবি করেন।
পরে আশরাফুল টাকা দেওয়ার কথা বলে কৌশলে নগরীর ভদ্রা এলাকায় নিয়ে এসে স্থানীয়দের সহোযোগিতায় তাদের আটক করে। পরে চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ুন কবীর ও ২৭ ওয়ার্ডের কমিশনার তৌহিদুল হক ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টির মিমাংসা করে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে যান।
অভিযুক্ত কনস্টেবল মুর্ত্তুজার কাছ থেকে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন. ‘আসলে বিষয়টি সেই রকম কিছু না। আমাদের কথা কেউ শুনতে চাইছে না।’ তবে কী ঘটেছিল সেখানে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেন নি।
চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘পুলিশ ডির্পাটমেন্টের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রতিনিধি/আ.