ইউএনভি ডেস্ক:
কলেজ ছাত্রীকে হয়রানি করায় অভিযুক্ত ব্যক্তিতে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ায় রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহম্মেদকে ১৪ ফেব্রুয়ারি সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যাসহ কারণ দর্শানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাজশাহীর বাগমারার আমলি আদালতের বিচারিক হাকিম জুবাইদা রওশন আরা এই আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়েছে, ৫ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিক ‘বাগমারায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে আমিনুল ইসলাম (২৫) নামে একজন কলেজছাত্রীর ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন অপপ্রচার চালায়, যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮–এর ২৪ ধারার এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২–এর ৮ (১)(২)(৩) ধারার সুস্পষ্ট অপরাধ।
আদেশে আরও বলা হয়, ওই কলেজছাত্রীকে হয়রানি করার জন্য তার বাবা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ অভিযুক্ত আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। ওই অপরাধ আমলযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও বাগমারা থানার ওসি দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮–এর ১৫৪ ধারা অনুযায়ী মামলা রেকর্ডের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তিনি মামলা রেকর্ড করেননি।
বরং আসামিকে গ্রেপ্তার করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। ওসি মো. নাসিম আহম্মেদের ইচ্ছাকৃত কর্তব্যচ্যুতি বা আইন অমান্য করার এই কর্মকাণ্ড দ্য পুলিশ অ্যাক্ট ১৮৬১–এর ২৯ ধারা মোতাবেক সুস্পষ্ট অপরাধ। এ অবস্থায় ওসি নাসিম আহম্মেদের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যাসহ কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বাগমারা থানার ওসি নাসিম আহম্মেদ বলেন, ‘আদালত আদেশ দিলে আর কী করার আছে, যেতেই হবে। তবে আদেশ এখনো হাতে পাই নি।’
সূত্র: প্রথম আলো।