মেয়েকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে গিয়ে জানলেন তিনি মৃত


ইউএনভি ডেস্ক:

মেয়েকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে নিয়ে গিয়েছিলেন সুনামগঞ্জের মেস্তী মঈন উদ্দিন। তবে সেখানে যাওয়ার পর যা ঘটেছে তাতে হতভম্ব এ বাবা। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, মঈন উদ্দিন আর বেঁচে নেই– এমনটিই বলছে অনলাইনে নিবন্ধিত তথ্য। আজ সোমবার এমন তথ্যই জানা গেছে ওই অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে।

উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের বাসিন্দা মেস্তী মঈন উদ্দিন পেশায় রংমিস্ত্রি। সম্প্রতি তিনি মেয়েকে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি করতে নিয়ে যান পৌরসভার শেরপুর এলাকার হাজী আবদুর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানেই এ তথ্য জানতে পারেন।

জানা গেছে, বিদ্যালয়ের অনলাইনে ভর্তি ফরম রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে মঈন উদ্দিনের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই করতে অনলাইনে নিবন্ধিত তথ্য খুঁজে দেখা হয়। একপর্যায়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, অনলাইনের তথ্য অনুযায়ী মঈন উদ্দিন মৃত। তাঁর তথ্য সংশোধন করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের ভর্তি নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি।

মঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমার শিশুকন্যাকে স্কুলে ভর্তি করতে গিয়ে জানতে পারি, অনলাইনে আমার পরিচয়পত্রে আমাকে মৃত দেখাচ্ছে। এ কথা শুনে আমি অবাক হয়ে যাই। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সংশোধন করার জন্য বলেছেন। এ জন্য আমি স্থানীয় নির্বাচন অফিসে এসেছি সংশোধনের জন্য। রোববার আবেদন করেছি।’

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, ভোটার হালনাগাদকালে তথ্যদাতার তথ্য অনুযায়ী ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করা হয়েছে। তথ্যের ভুলের কারণে এ রকম রয়েছে। বিষয়টি সংশোধনের আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী।


শর্টলিংকঃ