রাকসুতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদ চায় প্রজন্ম লীগ


রাবি প্রতিনিধি :

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) গঠনতন্ত্রে মুক্তিযুদ্ধ ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের পদ যুক্ত করাসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন প্রজন্ম লীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়েল প্রক্টর দফতরে ‘রাকসু সংলাপ কমিটি’র সঙ্গে বৈঠকে তারা এ দাবি জানান।

রাকসু সংলাপ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে প্রজন্ম লীগের নেতাকর্মীরা

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- এম.ফিল, পিএইচডি এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রাখা, ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু নির্বাচনি পরিবেশ তৈরি, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্যানেল করতে না দেওয়া, ক্যাম্পাসে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চর্চা নিষিদ্ধ, প্রতিবছর রাকসু নির্বাচন ও নির্বাচনের জন্য তারিখ নির্দিষ্ট করা, নির্বাচনকালীন সাংবাদিকদের নির্বিঘেœ কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করা।

বৈঠক থেকে বের হয়ে সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে রাকসুতে আমরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পদ যুক্ত করার দাবি জানিয়েছি। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ও দেশে প্রথম ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নিচ্ছে রাবি। সেদিকে খেয়াল রেখে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকও যুক্ত করার দাবি আমাদের।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই- রাবির যারা নিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন এখন এম.ফিল, পিএইচডি কিংবা অন্য বিষয়ে সান্ধ্য কোর্সে পড়ছেন তাদেরকেও নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। দাবিগুলোর বিষয়ে সংলাপ কমিটি ইতিবাচক। আশা করছি প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।’

সংলাপ শেষে সংলাপ কমিটির সঙ্গে প্রজন্মলীগের নেতাকর্মীরা

কমিটির সভাপতি ও প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘তাদের অধিকাংশ দাবিই যৌক্তিক। তবে সান্ধ্য কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রার্থীতার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংলাপ কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্রউপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, সহকারী প্রক্টর আবু সাঈদ মো. নাজমুল হায়দার, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা প্রমুখ।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে সংলাপ কমিটি। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।


শর্টলিংকঃ