রাজশাহীতে ভিসা নিতে আসছে অন্য বিভাগের মানুষ


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে দুই কর্ম দিবসে মিলছে ভারতীয় ভিসা। রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনের আওতাভুক্ত অঞ্চলের ভিসা প্রার্থীরা এই সুযোগ পাচ্ছেন। তবে দ্রুত ভিসা প্রাপ্তির জন্য অন্যান্য বিভাগের ভিসা প্রার্থীরাও আবেদন করছেন রাজশাহীতে। তারা এসব আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করছেন ভিআইপিদের। আর এতেই বাঁধছে বিপত্তি, তৈরি হচ্ছে দীর্ঘসূত্রিতা।

রাজশাহীতে ভিসা নিতে আসছে অন্য বিভাগের মানুষ
চিকিৎসা সহ নানা প্রয়োজনে ভারত ভ্রমণের জন্য ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার পরে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হতো কিছুদিন আগেও। তবে সম্প্রতি সময়ে রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমারের বিশেষ উদ্যোগে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোতে আবেদন জমা দেওয়ার পর দুই কর্ম দিবসের মধ্যেই মিলছে ভারতীয় ভিসা। নিয়ম অনুযায়ী শুধু রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ভিসা প্রার্থীরাই এই সুযোগ পাবেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য বিভাগের ভিসা প্রার্থীরা শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের ব্যবহার করে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোতে ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে বিপত্তিতে পড়ছেন ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোর কর্মকর্তারা।

রাজশাহী ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, দ্রুততম ভিসা সময়ে ভিসা ডেলিভারি দেওয়ার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছি আমরা। ভিসা আবেদন জমা নেওয়ার পূর্বে যাচাই-বাছাই সহ বায়োমেট্রিক এর জন্য যথেষ্ট সময় প্রয়োজন হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ভিআইপি পরিচয়ে ভিসা সাক্ষাৎকারে জন্য নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র জমা দিতে আসছেন অনেকেই। তাদের আবেদনপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে কর্ম ঘন্টা নষ্ট হচ্ছে আমাদের। তিনি আরো জানান, উপযুক্ত কারণ ও কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত সাক্ষাৎকার তারিখের পূর্বে কোনভাবেই আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ নেই।

রাজশাহীতে দুই কর্ম দিবসে মিলছে ভারতীয় ভিসা। রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারি হাইকমিশনের আওতাভুক্ত অঞ্চলের ভিসা প্রার্থীরা এই সুযোগ পাচ্ছেন। তবে দ্রুত ভিসা প্রাপ্তির জন্য অন্যান্য বিভাগের ভিসা প্রার্থীরাও আবেদন করছেন রাজশাহীতে

রাজশাহীতে নিযুক্ত সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনার মনোজ কুমার জানান, ভিসা প্রাপ্তি সহজীকরণের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি আমরা। সর্বনিম্ন সময়ের মধ্যে ভিসা ডেলিভারি দেওয়ার জন্য আমাদের কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট সময়ে অধিক কর্ম ঘন্টা কাজ করছেন। আমাদের কাছে সকল ভিসা প্রার্থী এক সমান। কারো সামাজিক অবস্থানের জন্য এ নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই আমাদের। জরুরী চিকিৎসার জন্য ভারত গমনেচ্ছুদের প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে এক কর্ম দিবসেও ভিসা দিয়েছি আমরা।

তিনি আরো জানান, ইদানিং তার কর্ম অঞ্চলের বাইরের এবং জরুরী প্রয়োজন ছাড়াই কিছু সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাদের ভিসাপ্রার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে ভিসা প্রদানের জন্য অনুরোধ করছেন যা তার জন্য চরম বিব্রতকর। তিনি জানান, ভিসা প্রাপ্তিতে শৃংখলা বজায় রাখতে এ ধরনের অনুরোধ আর গ্রহণ করা হবে না। এছাড়াও আগামীতে এক কর্মদিবস পরেই সকল ধরনের ভিসা প্রদানের আশাবাদ ব্যাক্ত করেন মনোজ কুমার।


শর্টলিংকঃ