এমন বিক্ষোভ আগে দেখেনি হংকং


সারাদুনিয়া ডেস্ক :

অপরাধী প্রত্যার্পণ বিলের বিরুদ্ধে হংকংয়ের বিক্ষোভে স্মরণকালের সর্বোচ্চ মানুষ অংশ নিয়েছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দি বিনিময় বিষয়ে চীনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হংকংয়ের রাস্তায় নেমেছেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ। স্থানীয় পুলিশ বলছে, হংকংয়ের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।

ছবি : ডয়েচে ভেলে

চীনের নতুন এক আইন অনুযায়ী, দেশটি চাইলে সন্দেহভাজন অপরাধীদের নিজ ভূখণ্ডে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে। আর এর প্রতিবাদেই বিক্ষোভে নেমেছেন লাখো মানুষ। কারণ, হংকং একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। ২০৪৭ সাল পর্যন্ত এর স্বায়ত্তশাসন বহাল থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন।

 কিন্তু চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে বন্দি বিনিময় সংক্রান্ত বিল বাস্তবায়ন হলে হংকংয়ের ওপর চীনের নজরদারি বাড়বে। এছাড়া বন্দি সমর্পণ চুক্তি কাজে লাগিয়ে চীন হংকংয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ শুরু করবে বলেও আশঙ্কা বিক্ষোভকারীদের।

তাই এই আইনটি যেন স্থগিত না করে বাতিল করা হয় সেই দাবিও উঠেছে।

গেত কয়েকদিন ধরে চলা এই আন্দোলনে রোববার (১৬ জুন) সবচেয়ে বেশি লোক সমাগম হয়। দুপুরের দিকে হংকং সিটির ভিক্টোরিয়া স্কয়ার এলাকায় সমাবেত হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এদের বেশিরভাগেরই পরনে ছিল কালো পোশাক। ধীরে ধীরে পথে নেমে আসেন তিন লাখের বেশি মানুষ। শহরের বহু গুরুত্বপূর্ন সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা।

গত বুধবার পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হলে পুলিশ সেটিকে দাঙ্গা বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে রোববার বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে পথে নামের শিক্ষার্থীরা। সেখানে লেখা ছিল, ‘শিক্ষার্থীরা দাঙ্গা করে না’।

এদিকে অব্যাহত প্রতিবাদের মুখে শনিবার (১৫ জুন) সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, বিলটি স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘোষণাও শান্ত করতে পারেনি বিক্ষুব্ধ হংকংবাসীকে। উল্টো রোববার আরও বেশি মানুষ পথে নামেন। বিক্ষোভ থেকে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লামের পদত্যাগেরও দাবি উঠেছে।

উল্লেখ্য, আগে হংকং ব্রিটিশ উপনিবেশের শাসনে ছিল। ১৫০ বছর শাসনে থাকার পর ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই অঞ্চলটি চীনের কাছে ফেরত দেওয়া হয়।


শর্টলিংকঃ