নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবশেষে রাজশাহী-ঢাকা রুটের একমাত্র বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’র যাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক খাবারের সিদ্ধান্ত বাতিল হতে যাচ্ছে। আগামীকাল শনিবার (১৮ মে) থেকে এই সিদ্ধান্তটি কার্যকর হতে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এএমএম শাহ নেওয়াজ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বনলতার বাধ্যতামূলক খাবার বাতিলের পর শোভন চেয়ার এর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭৫ টাকা এবং স্নিগ্ধা (এসি চেয়ার) ৭২৫ টাকা। তবে ট্রেনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর বাধ্যতামূলক ১৫০ টাকার খাবারসহ টিকিট বা ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল শোভন ৫২৫ টাকা এবং স্নিগ্ধা ৮৭৫ টাকা।
এদিকে, বনলতা এক্সপ্রেসে বাধ্যতামূলক খাবার নিয়ে ট্রেনটি উদ্বোধনের পর থেকেই যাত্রীসহ সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।টিকিটের সঙ্গে খাবারের জন্য অতিরিক্ত ১৫০ টাকা কেটে নেওয়ায় সমালোচনা শুরু হওয়ায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রেল মন্ত্রণালয়ের কাছে এটি বাতিলের দাবি জানান।
পরে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বনলতা এক্সপ্রেস এর টিকিটের মূল্যের সাথে যে খাবারের মূল্য যোগ করা ছিল তা বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ওই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই শনিবার (১৮ মে) থেকে বাতিল হতে যাচ্ছে বাধ্যতামূলক খাবার।
এখন থেকে ট্রেনের নির্ধারিত দুইটি বগিতেই খাবার থাকবে। যাত্রীদের কেউ ইচ্ছে করলেই টাকা দিয়ে সে খাবার কিনে খেতে পারবেন। বাধ্যতামূলকভাবে আর কাউকে খাবারের প্যাকেট পরিবেশন করা হবে না। ফলে টিকিটের সাথেও খাবারের জন্য বাড়তি ১৫০ টাকা অতিরিক্ত হারে কাটা হবে না।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনানুষ্ঠানিকভাবে এই অঞ্চলের প্রথম বিরতিহীন ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সময়সূচি অনুযায়ী, ঢাকা থেকে ট্রেনটি দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে রাজশাহী পৌঁছায় সন্ধ্যা ৬টায়। রাজশাহী থেকে সকাল ৭টায় ছেড়ে ঢাকার কমলাপুরে পৌঁছায় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে। এর সাপ্তাহিক বন্ধ রয়েছে শুক্রবার। আর বিরতিহীন চার্জ হিসাবে বিদ্যমান ভাড়ার সঙ্গে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে ভ্রমণকারীদের।
