খাদ্যসামগ্রীর জন্য বাঘায় দিনমজুরদের বিক্ষোভ


বাঘা প্রতিনিধি :
করোনায় সামাজিক দুরত্ব উপেক্ষা করে খাদ্যসামগ্রীর জন্য রাজশাহীর বাঘায় দিনমুজুররা বিক্ষোভ করেন। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হরিরামপুর এলাকায় রুপপুর মোড়ে এ বিক্ষোভ করা হয়েছে।


জানা যায়, করোনা ভাইরাসের কারনে দিনমুজুররা ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। এদিকে সরকারিভাবে সকলকে খাদ্যসাগ্রীও দেয়া হচ্ছেনা। ফলে কোন উপায় না পেয়ে পেটের ক্ষুদা নিয়ে দুই শতাধিক দিন মুজুর বিক্ষোভ করেন। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দীন লাভলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) আলপনা ইয়াসমিন, মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, বাঘা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের খাদ্যসামগ্রী দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শান্ত করা হয়।

এ বিষয়ে মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ইউনিয়ননে ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৪ হাজার, খানা সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৯ হাজার। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে প্রথম পর্যায়ে ৫০০টি পরিবার, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৫০টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে ৭০০ পরিবারের মধ্যে বরাদ্দ হয়েছে। সেগুলো বিতরণের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া এই ইউনিয়নে ওএমএস এর কার্ড রয়েছে এক হাজার ২০০টি। এছাড়া শিশু মাতা কার্ড রয়েছে ৬৩টি। তবে এই ইউনিয়নে জনসংখ্যার তুলনায় খাদ্যসামগ্রী অপ্রতুল রয়েছে। কিছু দরিদ্র দিনমুজুর এই মহামারারীর মধ্যে কতিপয় স্বার্থন্বেষী মানুষের প্ররোচনায় খাদ্যসামগ্রী না পেয়ে একত্রিত হয়েছিল। পরে তাদের খাদ্যসামগ্রী দেয়ার প্রতিশ্রতি দিয়ে শান্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিক্ষোভকারী রনি, রাহেলা, আজদার, আরমান লিমা, আফরোজা, সরেজান, লালন, ছপেনা, জারমান লায়েব জানান, প্রায় সাড়ে ৩ সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাসের কারনে সকল কাজ বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছি। ফলে অনাহারে ও অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি। এ কারণে অতিদ্রুত খাদ্য সহায়তার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দীন লাভলু বলেন, ঘটনা জানার পর আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। তাদের পরবর্তীতে খাদ্য সামগ্রী দিতে চেয়ে শান্ত করা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে বরাদ্দ আসলে খাদ্যসামগ্রী তারা পাবে। তার সাথে ওই এলাকার বৃত্তমানদের সহযোগিতা করা জন্য আহবান জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা জানান, ইতিমধ্যে রিকশা চালক, হোটেল শ্রমিক, ইমারত শ্রমিক, চা স্টোল মালিক, ভিক্ষুকদের তালিকা করে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। বাকিদের অতিদ্রুত খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। তবে একটি মহল বিশেষ উদ্দেশ্যে সামাজিক দুরত্ব না মেনে কিছু দিনমুজুরদের রাস্তায় দাঁড় করিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তাদের তালিকা তৈরী করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী তাদের খাদ্যসামগ্রী অতিশীর্ঘই দেয়া হবে।


শর্টলিংকঃ