ঘূর্ণিঝড় রেমালে পুঠিয়ায় ফসল ক্ষয়ক্ষতি


পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডব থেকে বাদ পড়েনি আম, লিচু, ভুট্টা, কলা, ধান ছাড়াও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে কাঁচা বাড়ি-ঘরের ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকালের ঝড়ে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার হলো ভুট্টা পাঁচ হেক্টর, কলা দুই হেক্টর ও ধান শৃন্য দশমিক এক হেক্টর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এটা প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। তবে মূল ক্ষয়ক্ষদের পরিমাণ জানা যাবে চার থেকে পাঁচ দিন পরে।
সোমবার (২৭ মে ) ভোর থেকে মাঝারি দমকা হওয়ার সাথে ব্যাপক গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি প্রায় রাত দশটা পর্যন্ত চলে । বৃষ্টিতে কোন প্রকার ক্ষতি না হলেও ঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে কৃষকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে চলতি বছর আম ও লিচু বাগান গুলোতে অনেক কম পরিমাণে মুকুল দেখা দেয় । তবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বেশীরভাগ কুড়ি ঝড়ে যাচ্ছে। এদিকে চলতি মৌসুমে ঝড়ের কারণে বিভিন্ন ফল ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

পুঠিয়া সদর এলাকার আম চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছরে আম বাগানে অনেক কম থাকায় আমরা বেশিরভাগ আম চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েছি। তারপরও যে পরিমাণ আম ছিল বেশিভাগ গতকালের ঝড়ে পড়ে গেছে। এ বছরে আমরা অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হব বলে মনে করি।

কলা চাষী আলতাফ হোসেন বলেন, গতকালের ঝড়ে আমার কলাবাগানে বেশিরভাগ কলা সহ গাছগুলো ভেঙে পড়ে গেছে । এই ঝড়ের কারণে অনেক টাকা ক্ষতির হয়ে গেছে আমার।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় আম লিচু কলার পাশাপাশি ভুট্টা ও ধানের সহ সকল ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেন, আজ সকাল থেকেই আমাদের কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পর্যালোচনা করছেন এবং এই ক্ষতি থেকে কিভাবে উঠে আসা যায় সেই জন্য কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।


শর্টলিংকঃ