চট্টগ্রামের হয়ে নতুন বছরে আসছেন গেইল


ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে দর্শকদের ভালোই বিনোদন দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। রান উৎসবে শামিল হয়েছিলেন ইমরুল কায়েস-ওয়ালটনরা। গত ২১ ডিসেম্বর সাগরিকায় শেষ ম্যাচ খেলে ঢাকায় ফিরেছে দলটি। যদিও চট্টগ্রামে শেষ ম্যাচে হেরেছিল তারা। গতকাল বিসিবি একাডেমিতে অনুশীলনও করেছে চট্টগ্রাম।

ক্রিস গেইল
ক্রিস গেইল

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চট্টগ্রামের মিশন ভালোই যাচ্ছে। সাত ম্যাচের পাঁচটিতে জিতেছে দলটি। এই আসরে চট্টগ্রামের মিশনে আরো রঙ চড়াতে আসছেন ক্রিস গেইল। বিধ্বংসী এই ক্যারিবিয়ান অভিজ্ঞ ওপেনার ৫ জানুয়ারি ঢাকায় পৌঁছাবেন। গতকাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের ম্যানেজার ফাহিম মুনতাসির সুমিত। বিপিএলের সিলেট পর্ব শেষে ঢাকায় চট্টগ্রাম দলের সঙ্গে যোগ দিবেন গেইল। ফাহিম মুনতাসির সুমিত বলেছেন, ‘৫ জানুয়ারি দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন গেইল।’

গত ১৭ নভেম্বর ড্রাফট থেকে গেইলকে দলে নিয়েছিল চট্টগ্রাম। তারপর হয়েছে কিছু নাটকীয়তা। অবশেষে ২ ডিসেম্বর গেইলকে পাওয়ার সুখবর জানায় দলটি। এবার চট্টগ্রামের জার্সিতে পাঁচটি ম্যাচ খেলতে পারেন তিনি।

এদিকে নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে টুর্নামেন্টের শুরুতে দুই ম্যাচ পায়নি চট্টগ্রাম। হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরির কারণে বাইরে ছিলেন তিনি। একই ইনজুরির কারণে চট্টগ্রামেও শেষ ম্যাচটা মিস করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তারপরও চট্টগ্রাম শক্ত অবস্থানেই আছে। ইমরুলের নেতৃত্বে ভালো করেছে চট্টগ্রাম। দলের টপঅর্ডার ফর্মে আছে, বোলিংয়ে মেহেদী হাসান রানা দারুণ ফর্মে আছেন।

মাঠে দল হিসেবে খেলেই এমন সফলতা পেয়েছে চট্টগ্রাম। এমনটাই মনে করেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। চট্টগ্রাম পর্বে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার।

গতকাল বিসিবি একাডেমিতে চট্টগ্রামের সাফল্য নিয়ে প্লাঙ্কেট সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার মনে হয় দলের সবাই সমান অবদান রাখছে। এটাই দল হিসেবে সাফল্য এনে দিচ্ছে। ব্যাট হাতে টপ অর্ডার দুর্দান্ত, নতুন বলে তরুণ পেসাররাও ভালো করছে। এটাই মূলত সাফল্যের পেছনে কারণ মনে হয়।’

পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই সেরা চারে যেতে চায়। শেষ ম্যাচে রংপুরের কাছে হেরেছিল চট্টগ্রাম। ঢাকায় জয়ের ধারায় ফিরতে চায় দলটি। প্লাঙ্কেট বলেছেন, ‘পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকেই প্লে অফ খেলতে চাই। গত ম্যাচে আমরা হেরেছি, ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হয়েছে ব্যাটসম্যানরা। ছেলেরা বেশ পরিশ্রম করছে, আশা করি পরের ম্যাচেই বেশ শক্ত কামব্যাক করব।’

চট্টগ্রামের বোলিং আক্রমণটা বাঁহাতি পেসার রানার ওপর অনেক নির্ভরশীল। ১৩ উইকেট শিকার করেছেন এই তরুণ। রানাকে দেখে মুগ্ধ প্লাঙ্কেটও। ইংলিশ এই ক্রিকেটার গতকাল রানা সম্পর্কে বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম পর্বের শেষ দুই ম্যাচ আগে আমি এসেছি ফলে খুব বেশি দেখা হয়নি। তবে যতটুকু দেখেছি সে মুগ্ধ করেছে, প্রথম ম্যাচে সে দারুণভাবে তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছে। গত ম্যাচেও দেখেছি ইয়র্কার, লাইন লেংথে নতুন বল ভালো সামলায়। সত্যি ভালো করেছে।’

বল হাতে বেশ নিয়ন্ত্রণ আছে প্লাঙ্কেটেরও। স্লোয়ার, বাউন্সার, গতি মিলে বেশ কার্যকর তার বোলিং। মিরপুর স্টেডিয়ামের উইকেট সম্পর্কে প্লাঙ্কেট বলেছেন, ‘আমি এখানের উইকেট এখনো দেখিনি, সরাসরি চট্টগ্রামে খেলেছি। ওখানকার উইকেট দুর্দান্ত ব্যাটিং সহায়ক ছিল। ব্যাটসম্যানরা বেশ উপভোগ করেছে। টিভিতে যেটা দেখলাম ঢাকার উইকেটেও রাতে বল করা খুব কষ্টকর । লাইনে বল ফেলা কিংবা ইয়র্কার চেষ্টা করা কঠিন।’


শর্টলিংকঃ