ছাত্রদল নেতা এখন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা


ইউএনভি ডেস্ক:

পিরোজপুরের নাজিরপুরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে উপজেলা ছাত্রদলের নেতা প্রতীক হাসানাতকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর এ নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ এর অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত একটি কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়। এতে তুহিন হালদার তিমিরকে সভাপতি, মো. আল-আমিন খানকে সাধারণ সম্পাদক এবং মো. জাকারিয়া হাওলাদার, রিজভী খান, প্রতীক হাসানাত খানকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

আর ওই কমিটির কনিষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে নাম থাকা প্রতীক হাসানাত খান সদ্যবিলুপ্ত উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির ১৯নং সদস্য।

উপজেলা ছাত্রদলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম সাঈদ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান মিঠু স্বাক্ষরিত এসএম মাজেদুল কবীর রাসেলকে আহ্বায়ক ও এসএম হাফিজুর রহমান লায়েককে সদস্য সচিব করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে প্রতীক হাসানাত ছিলেন ১৯নং সদস্য।

উপজেলা ছাত্রদলের ওই কমিটির সদস্য সচিব মো. হাফিজুর রহমান লায়েক জানান, প্রতীক হাসানাত ছাত্রদলের প্রাথমিক সদস্য ফর্ম পূরণ করে পদ পেয়েছিলেন। তবে তার ওই পদের জন্য জেলাকে সুপারিশ করতে সংগঠনের স্থানীয় একটি মহলের চাপ ছিল।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু হাসান খান জানান, একটি সুবিধাবাদী মহল সবসময়ই সুবিধা নিতে দল বদলায়। সরকারি দল করা সহজ কিন্তু সরকারের বাহিরে থেকে দল করতে হিম্মত বা সাহস লাগে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারেফ হোসেন খান জানান, প্রতীক হাসানাত কীভাবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছে তা আমার জানা নাই। তবে তাকে সব সময় আওয়ামী লীগের সংগঠনবিরোধী লোক হিসেবে চিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন ঘোষিত কমিটির সভাপতি তুহিন হালদার তিমির জানান, প্রতীক হাসানাতের নাম কীভাবে উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে এসেছে তা আমার জানা নাই।

এ ব্যাপারে জানতে প্রতীক হাসানাত সাংবাদিকদের জানান, ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে একটি মহল তার বিরুদ্ধে এমন প্রচারণা করছে। তিনি কখনো ছাত্রদল করেননি। তিনি ছাত্রদলের পদে ছিলেন তা তিনি জানতেন না।

উল্লেখ্য, প্রতীক হাসানাত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসানাত খান পেয়ারার ছেলে ও উপজেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম খানের ভাইপো। তিনি ‘রিক’ নামের এক বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন।

জানা গেছে, ওই কমিটির সহসভাপতি হয়েছেন- নজরুল ইসলাম নবীন, এসএম কাইয়ুমুজ্জামান, মুন্সি মো. ফারুক হোসেন, মীর মিজানুর রহমান লিটন, ওবায়দুল্লাল দিপু, সঞ্জয় দাস, প্রানকৃষ্ণ বিশ্বাস। মো. শহিদুল ইসলাম পান্না, আমিনুল ইসলাম মুন্না এই ২ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মো. জাকারিয়া হাওলাদার, রিজভী খান, প্রতীক হাসানাত খান এই ৩ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক. মো মনিরুজ্জামানকে প্রচার সম্পাদক, চমন খানকে দপ্তর সম্পাদক করে ১৮ জনকে বিভিন্ন পদের সম্পাদক, ৬ জনকে উপ-সম্পাদক এবং ৩০ জনকে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য করে ৬৮ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে।


শর্টলিংকঃ