পুঠিয়ায় জুয়াড়ি পুত্রের হাতেই নির্মমভাবে খুন হন অহির বক্স


পুঠিয়া  প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় একমাত্র জুয়াড়ু পুত্র শরিফুল ইসলামের হাতে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হোন পিতা অহির বক্স (৫৮)। পুলিশ ঘাতক পুত্রকে আটক করেন। পরে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধিতে হত্যাকান্ডের বিষয়টি শিকার করেছে।

এদিকে আটককৃত শরিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।শুক্রবার বিকেলে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাসমত আলী গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৯ অক্টোবর সকালে অহির বক্স বাড়ির বাহিরে গেলে একমাত্র ছেলে শরিফুল ইসলাম জুয়া খেলার জন্য এবং ঋনের টাকা পরিশোধ করতে তার পিতার জাংগিয়ার পকেটে থাকা ১৮০০০/- টাকা চুরি করে।

অহির বক্স দুপুরে বাড়ি এসে জাংগিয়ার পকেটে টাকা না পেয়ে ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন ছেলে শরিফুল স্বীকার করেছে যে সেই তার বাবার পকেটে থাকা টাকা নিয়েছে। এরপর পিতা অহির বক্স শরিফুল ওই টাকা ফেরত দেওয়ার চাপ দেন। কিন্ত শরিফুল টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে পিতা অহির বক্সকে জোরে ধাক্কা মারে।

ধাক্কার কারনে অহির বক্স চৌকির কর্নারের উপর পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তখন শরিফুল তার পিতার জ্ঞান ফিরানোর জন্য বুকের উপর চাপা দিলেও তার জ্ঞান ফিরেনি। এক পর্যায়ে সে বুঝতে পারে যে তার পিতা মারা গেছেন, তখন শরিফুল নিজে বাচার জন্য তার পিতার লাশ চৌকির উপর রেখে বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে সে বাহিরের অবস্থান করে।

এরপর রাতের অন্ধকারের অপেক্ষায় থাকে সে। রাত গভীর হতে থাকলে শরিফুল তার পিতার লাশ পিঠে বহন করে বাড়ির পাশে আম বাগানে ফেলে আসে। পরে বাড়ি ফিরে তরকারি কাটা হাসুয়া দিয়ে পিতার লাশের দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। এরপন থেকে চলে তার অভিনয়। রাত্রী বেলায় শরিফুলের মা বাড়ি এসে তার পিতার খোজ করলে শরিফুল বলে বাবা বিকেলে বাড়ি থেকে গেছেন আর ফিরেনি।

পরের দিন ২০ অক্টোবর সকালে স্থানীয় লোকজন বাড়ির পাশে একটি আম বাগানে তার লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। ওইদিন নিহতের স্ত্রী জরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।


শর্টলিংকঃ