পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন সুনশান নীরবতা


আবু হাসাদ, পুঠিয়া: 

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর জেলার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানে প্রতিদিন পাশের তিনটি উপজেলার সীমান্ত এলাকার শত শত রোগীরা আসেন সেবা নিতে।পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন সুনশান নীরবতা

বর্তমানে পুঠিয়া উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে এক সময় রোগীদের ভীড়ে ঠাসা হাসপাতালটি এখন প্রায় সুনশান নীরবতা হয়ে পড়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, পূর্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থাকলে গত প্রায় ২ বছর থেকে ৫০ শয্যায় রুপান্তরিত করা হয়। কিন্তু বেশীর ভাগ সময় অতিরিক্ত রোগীদের চাপের কারণে অনেকই ফ্লোরেও চিকিৎসা নেয়। দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিস্তার করার পর থেকে এখানে ভর্তি রোগিদের পাশাপাশি বহিঃর্বিভাগেও রোগিদের চাপ অনেক কমে গেছে।

বর্তমানে পুরুষ ও নারী ওয়ার্ড মিলে ৫জন রোগি ভর্তি আছেন। হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, করোনা প্রভাবের পূর্বে এই হাসপাতালে রোগি ও তাদের সাথে আসা মানুষের ঢল নামতো। প্রতিদিন পুঠিয়া উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী চারঘাট দুর্গাপুর ও নাটোর জেলার সিমান্ত এলাকার শত শত রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসতো।পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন সুনশান নীরবতা

বহিঃর্বিভাগে ভোর থেকে রোগীদের দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যেত। বর্তমানে পুরো হাসপাতালে প্রতিঘন্টায় মাত্র দু’একজন রোগি আসছেন চিকিৎসা নিতে। পুরুষ মহিলা আর শিশু ওয়ার্ড মিলে রোগি ভর্তি আছেন মাত্র ৫জন।

জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকগণ বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের প্রভাব বিস্তার করার পর থেকে হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের চাপ কম। এর মধ্যে এই উপজেলায় তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছাড়া সাধারণ রোগী নেই বললেই চলে।

তার মধ্যে আতঙ্কে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি থাকতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। দু’একজন ছাড়া সকলেই ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। জরুরি বিভাগের পাশাপাশি বহিঃর্বিভাগের একই অবস্থা। এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নাজমা আক্তার বলেন, শুধু এই হাসপাতালে যে রোগী কম তা নয়। বর্তমানে সারা দেশের হাসপাতাল গুলোর একই অবস্থা। তবে এখানে পূর্বের ন্যায় সব সময় সকল চিকিৎসা সেবা অব্যহত রয়েছে।


শর্টলিংকঃ