প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে অজগর


ইউএনভি ডেস্ক:

রাজশাহীর বাগমারার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে দেখা মিলেছে একটি পাইথন বা ময়াল অজগর সাপ। টানা ২০ দিনের ছুটি শেষে বুধবার সকালে স্কুল খোলার প্রথম দিনে বাগমারার মোহনগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ওই অজগর সাপটিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এ ঘটনায় স্কুলে আসা ছেলেমেয়েদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এলাকার মানুষ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অজগরটি মেরে ফেলেন।এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষকরা জানান, মোহনগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বারনই নদীর কোলঘেঁষে অবস্থিত। উজানের ঢলে বারনই নদীতে সম্প্রতি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্কুলের সহকারী শিক্ষক মানিকুজ্জামান মানিক জানান, ঈদ ও গ্রীষ্মের ২০ দিন ছুটি শেষে বুধবার সকাল ৯টায় স্কুলের পিয়ন রয়েল কারিগর অন্য কক্ষগুলোর সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির কক্ষটি খুলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করছিলেন। এ সময় কক্ষের এক কোণে একটি বিশালাকৃতির সাপ পড়ে থাকতে দেখেন। সাপ দেখেই রয়েল আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার দেন। সবাই ছুটে গিয়ে দেখতে পান একটি বড় সাপ একটি শ্রেণিকক্ষের এক কোণে পড়ে আছে।

মানিকুজ্জামান বলেন, সাপটি একটি ময়াল অজগর বা ইন্ডিয়ান পাইথন বলে আমরা ধারণা করছি।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ধানখেত ও লোকালয়ে রাসেল ভাইপারসহ অন্য শ্রেণির সাপ দেখতে পাওয়া গেলেও অজগরের উপস্থিতি স্বাভাবিক নয়। হতে পারে ভারত থেকে ঢলের পানিতে সাপটি বারনই নদীতে ভেসে এসেছে। বড় বন জঙ্গল ছাড়া গ্রামীণ পরিবেশে অজগর থাকার কথা নয়।

এদিকে এলাকাবাসী খবর পেয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ছুটে আসেন স্কুলে। তারা কক্ষের ভেতরেই সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে বাইরে নিয়ে আসেন। সাপটি দেখতে শত শত মানুষ স্কুল মাঠে ভিড় করেন। শ্রেণিকক্ষে সাপ পাওয়ার খবরে স্কুলের ছেলেমেয়েদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে যথাসময়ে স্কুলের পাঠদান শুরু করেন শিক্ষকরা।

এদিকে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, বুধবার থেকে স্কুল খোলার আগেই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের চিঠি দিয়ে বিশেষ করে রাসেল ভাইপারের বিষয়ে সতর্ক করা হয়। তবে মোহনগঞ্জ স্কুলে পাওয়া সাপটি অজগর সাপ বলে শিক্ষকরা তাকে জানিয়েছেন। স্কুলটি বারনই নদীর পাড়ে অবস্থিত। হতে পারে উজান থেকে সাপটি ভেসে এসে স্কুলের কক্ষে আশ্রয় নিয়েছিল।


শর্টলিংকঃ