ইউএনভি ডেস্ক:
পঞ্চগড় সদর উপজেলার রতনীবাড়ি প্রধানপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শিমুন রায় (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি সদর উপজেলার রতনীবাড়ি প্রধানপাড়া গ্রামে। খুব কাছাকাছি থেকে তাকে গুলি করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিহত কিশোর ওই গ্রামের পরেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে এবং সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। রবিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বিএসএফ-এর গুলিতে আহত হওয়ার পর রাত ৯টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
তার স্বজনদের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ ঢাকা ট্রিবিউকে জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।
বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ বিজিবি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার বিকেলে শিমুনসহ কয়েকজন সীমান্ত সংলগ্ন নিজস্ব জমির পাটক্ষেতে কাজ করছিল। এ সময় ভারতের খয়েরবাড়ী সীমান্ত ফাঁড়ির টহলরত বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের কাজে বাধা দেয়। বিষয়টি নিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে এক বিএসএফ সদস্য শিমুনকে খুব কাছ থেকে গুলি করে চলে যায়। গুলিটি তার শরীর ভেদ করে বেরিয়ে যায়।
খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সে মারা যায়।
বিজিবির নীলফামারী ৬৫ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মামুনুল হক জানান, আমরা খবর পেয়ে বিএসফের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় বিএসএফকে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে পতাকা বৈঠকের আহবান জানানোর প্রক্রিয়া চলছে। পতাকা বৈঠকের পর প্রকৃত তথ্য জানানো যাবে। সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন
